ধাপে ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্র যেভাবে সংশোধন করবেন
টেলিগ্রামের মাধ্যমে আয় করার সহজ উপায়
জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্টস। জাতীয় পরিচয়পত্র বিভিন্ন ভূলের কারণে আমাদের সংশোধন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম সংশোধন, জন্ম তারিখ সংশোধন বা ঠিকানা পরিবর্তন এর জন্য আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর জন্য আবেদন করতে হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র কিভাবে সংশোধন করবেন সেটা জানার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল ভালোভাবে পড়ুন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম বিস্তারিত ভাবে জেনে যাবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোন ধরনের ভূল থাকলে সেটি আমাদের ঠিক করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর জন্য কিছু ডকুমেন্টস জমা দেওয়াত প্রয়োজন হয়ে থাকে। ডকুমেন্টস গুলো দেওয়ার পূর্বে সংশোধন এর জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন থেকে ডকুমেন্টস জমা দেওয়া পর্যন্ত যে ধাপ অনুসরণ করতে হবে অর্থাৎ কিভাবে আবেদন করতে হবে এবং কি কি কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হব্র আজকের এই আর্টিকেলে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার উপায়
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার উপায় আমাদের জানতে হয়। আমাদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বা তার বেশি তাদের সরকারি ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র করার সময় আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভূল হয়ে যায়। জাতীয় পরিচয়পত্রের ভূল গুলোর মধ্যে, নাম ভূল হওয়া, জন্মতারিখ ভূল হওয়া, বাবা-মা এর নাম ভূল হওয়া কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন। এই ভূল গুলো সংশোধন করার জন্য আমাদের কি কি করতে হবে সেটা এখন জানাবো।
বর্তমান সময় অনলাইন এর জগৎ। আমাদের যাবতীয় সব কাজ অনলাইন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর অফিসিয়াল সাইট থেকে আপনাকে আবেদন করে আবেদন কপি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আপনার কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। যেগুলো আপনাকে আবেদন কপির সাথে জমা দিতে হবে। আবেদন এর জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সেটা বিস্তারিত ভাবে বলা হবে। জমা দেওয়ার জন্য আপনার এলাকার নির্বাচন অফিসে জমা দিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হয়। যেগুলো না দিলে আমাদের ভূল সংশোধন হয় না। তাই আপনাদের জানতে হব্র কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন এবং আবেদন কপির সাথে আমাদের কি কি কাগজ বা ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। আশা করি আপনা বুঝতে পেরেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার উপায় সমূহ।
অনলাইনে এনআইডি (NID) কার্ড সংশোধন করার উপায়
এনআইডি কার্ড সংশোধন করার উপায় কি? অনলাইন এর মাধ্যমে আমাদের এনআইডি কার্ড সংশোধন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আগে আমরা নির্বাচন অফিসে কাগজপত্র জমা দিলে আমাদের এনআইডি কার্ড সংশোধন হয়ে যেতো। কিন্তু বর্তমানে অনলাইন এর মাধ্যমে হওয়ার কারণে এটি এখন সময়সাপেক্ষ হয়ে গেছে। অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করার পর আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার উপায়।
- আবেদন করার সময় কিছু ডকুমেন্টস স্ক্যান করতে হয়। স্ক্যান করার জন্য NID WALLET অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এটি ব্যবহার করে ডকুমেন্টস গুলো স্ক্যান করতে হবে। আবেদন করার পর এই অ্যাপ্স এর মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস করে স্ক্যান করে নিতে হবে।
- গুগলে টাইপ করে লিখতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন লিখে। এরপর প্রথমে আসা ণীড সংশোধন এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইট এর মধ্যে যদি আপনার কোন অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে অ্যাকাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে। অ্যাকাউন্ট না থাকলে আপনি আবেদন করতে পারবেন না।
- আপনার রেজিষ্ট্রেশন করা শেষ হলে সেখানে অনেক গুলো অপশন দেখতে পারবেন। সেখান থেকে আপনাকে Edit অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার যেখানে ভূল আছে সেখানে সংশোধন করে দিবেন। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে সংশোধন করবেন।
- আবেদন করা এবং ডকুমেন্টস স্ক্যান করা শেষ হয়ে গেলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান ফি জমা দিতে হবে। বিভিন্ন মোবাইও ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি ফি জমা দিতে পারবেন। ফি জমা দেওয়ার পর আপনি প্রথমে যে অ্যাপটি ডাউনলোড করেছিলেন সেটার মাধ্যমে আপনার ডকুমেন্টস গুলোর জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সমূহ
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার প্রয়োজন হলে আমরা ভাবতে থাকি কিভাবে সংশোধন করা যায়। আমরা ইতিমধ্যেই কয়েকটি ধারণা দিয়েছি কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হয়। প্রথমে আপনাকে service.nidw.gov.bd সাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার, জন্মতারিখ ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট করে নিতে হবে। যদি আপনার আগে থেকে অ্যাকাউন্ট করে থাকে তাহলে লগিন করতে হবে। এরপর ইডিট (Edit) অপশন থেকে আপনার যেটি সংশোধন করার প্রয়োজন সেটি ঠিক করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান:- আবেদন করার সময় কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস থাকবে যেগুলো আপনাকে স্ক্যান করে নিতে হবে। কারণ আপনি এই ডকুমেন্টস গুলো স্ক্যান করা ছাড়া আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না এবং আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করা:- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর জন্য আপনাকে অনলাইন থেকে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে service.nidw.gov.bd তে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার, জন্মতারিখ ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
সংশোধন প্রক্রিয়া:- service.nidw.gov.bd তে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা শেষ হয়ে গেলে আপনার প্রোপাইলে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনি তিন (০৩) ধরনের প্রক্রিয়া দেখতে পাবেন। ব্যাক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা। আপনি যদি নাম কিংবা তারিখ সংশোধন করতে চান তাহলে ব্যাক্তিগত তথ্যে ক্লিক করতে হবে। ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে ঠিকানা তে ইডিট অপশনে ক্লিক করবেন। এইভাবে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে।
ফি প্রদান:- আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করা শেষ হলে আপনাকে সরকারি আবেদন ফি জমা দিতে হবে। অর্থ্যাৎ এই ধাপে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর ফি মোবাইপ ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদন ফরম
আমরা যখন অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে যায় তখন সার্ভার জনিত সমস্যার কারণে আবেদন সংশোধন আবেদন করতে পারি না। আবার অনেকে আছেন যারা অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয় সেটা জানেন না বা আবেদন করার ঝামেলা এড়াতে ফরম এর মাধ্যমে নির্বাচন অফিসে আবেদন করে থাকেন। আপনারা ভাবতেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন ফরমটি কোথায় পাবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে এবং কোথায় জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর ফরম পাবেন।
আপনি বেশ কয়েকটি উপায়ে এই ফরমটি সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রথমত আপনি এইটা অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন ফরম লিখে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে যোগাযোগ করলে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন ফরম পেয়ে যাবেন। আবার আপনি যদি আপনার নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে সেখান থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন ফরম সংগ্রহ করবেন।
সংগ্রহ করা আবেদন ফরম ভালোভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। অর্থাৎ আপনার যেখানে ভূল আছে সেটি উল্লেখ করতে হবে আবেদন ফরমে। এরপর সেটি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। তবে এটি একট সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর আবেদন করার সময় আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়। যে ডকুমেন্টস গুলো জমা না দিলে আমাদের আবেদন প্রক্রিয়া গ্রহণযোগ্য হবে না। আবেদন করার পূর্বে আমাদের এই ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। আবেদন করার পর আবেদন কপির সাথে পিন করে একসাথে জমা দিতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে।
নামের বানান ও আংশিক পরিবর্তন
- সার্টিফিকেট (এসএসসি/এইচএসসি)
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি
- পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
- এমপিও বা সার্ভিস বইয়ের কপি (চাকরিজীবী হলে)
- বিবাহের কাবিন নামা (বিবাহিত হলে)
নাম সম্পূর্ণ অংশ পরিবর্তন
- সার্টিফিকেট (এসএসসি/এইচএসসি)
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি
- পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
- হলফ নামা
- এমপিও বা সার্ভিস বইয়ের কপি (চাকরিজীবী হলে)
- বিবাহের কাবিন নামা (বিবাহিত হলে)
পিতা ও মাতার নাম পরিবর্তন
- সার্টিফিকেট (এসএসসি/এইচএসসি)
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি
- পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
- এমপিও বা সার্ভিস বইয়ের কপি (চাকরিজীবী হলে)
- বিবাহের কাবিন নামা (বিবাহিত হলে)
স্বামী-স্ত্রীর নাম সংশোধন
- তালাক নামা (যদি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে থাকে) বা বিবাহের কাবিন নামা
- সার্টিফিকেট (এসএসসি/এইচএসসি)
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি
- পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৪
জন্ম তারিখ সংশোধন করতে কি কি লাগে
- সার্টিফিকেট (এসএসসি/এইচএসসি) বা রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত অনুলিপি (উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট প্রযোজ্য নয়)
- পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি
- সিভিল সার্জন কর্তৃক বয়স প্রমাণের রেডিওলজিক্যাল মেডিক্যাল টেস্ট রিপোর্ট
- চেয়ারম্যান কর্তৃক পারিবারিক সনদ (পরিবারের সকল সদস্যের নাম, পিতা-মাতা, ভাই বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্মের ক্রম উল্লেখসহ
- পেনশন বা অবসর ভাতা বইয়ের সত্যায়িত ফটোকপি
- সার্ভিস বই বা এমপিও শীটের কপি বা চাকরীর আইডি কার্ড বা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অফিস স্মারক সম্বলিত পত্র
ঠিকানা সংশোধন করতে কি কি লাগে
- সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র
- জমির খতিয়ান
- বিদুৎ পরিশোধ এর কপি
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি
- পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- অন্যান্য প্রমাণ (যদি দিতে বলে)
ভোটার আইডি কার্ডে বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন
- বিবাহের কাবিন নামা
- হিন্দু ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না হয়ে থাকলে উভয় পক্ষ কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এফিডেভিট
- স্বামী এবং স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র কপি
- বিবাহ বিচ্ছেদ হলে বিচ্ছেদের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
- স্বামী/স্ত্রীর মৃত্যুর সনদ (মৃত হলে)
- অন্যান্য প্রমাণ (যদি দিতে বলে)
ভোটার আইডি কার্ডে জন্মস্থান সংশোধন
- সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি
- পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- ভোটার আইডি কার্ডে পেশা সংশোধন
- নিয়োগপত্র
- পেশা ভিত্তিক সনদ
- সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র
- অন্যান্য প্রমাণপত্র (নির্বাচন অফিস থেকে বলে দিবে)
আরো পড়ুনঃ গরুর ভুড়ি খাওয়ার অপকারিতা
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন হতে কতদিন লাগে
আবেদন করার পর কত দিন পর সংশোধন হয়ে আসবে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা অসম্ভব। সাধারণত আবেদন করার পর আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলা হয়। আবেদন করার পর যদি সরকারি কোন বন্ধ থাকে সেটার জন্যও আবার অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। তবে আপনি অনলাইনে সংশোধন এর জন্য আবেদন করার পর ৭ কর্মদিবস থেকে ১৪ কর্মদিবস পর্যন্ত সময় লাগে। কর্মদিবস বলতে বাংলাদেশের আইনে যে দিন অফিস খোলা থাকলে সেটিকে আমরা কর্মদিবস বলে থাকি।
অর্থাৎ ৭ দিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রম দেখা যায়। আপনি যদি কোন সরকারি বন্ধের সময় আবেদন করেন তবে সেক্ষেত্রে বন্ধের দিন সহ ধরতে হবে। অর্থ্যাৎ বন্ধ যদি ১০ দিন থাকে তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন হতে আরো অতিরিক্ত ১০ দিন সময় বেশি লাগবে। তবে বর্তমানে ৭ দিন থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সংশোধন এর কাজ শেষ হয়ে যায়।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি কত
আপনি যখন অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর জন্য আবেদন করবেন তখন আপনাকে একটি সরকারি ফি বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। আপনি যতক্ষন পর্যন্ত (আপনাকে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে) টাকা পরিশোধ করবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার আবেদন পেন্ডিং হয়ে থাকবে। তাই আবেদন করার পর সাথে সাথে আমাদের উচিৎ সরকারি ফি জমা দিয়ে দেওয়া। এখন আমরা জানবো জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি কত টাকা।
আমরা যখন সংশোধন এর জন্য আবেদন করতে যায় তখন সেখানে ৩ ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে। আমরা ৩ ধরনের তথ্য সংশোধন করতে পারি। টাকা পরিশোধের সময় আমাদের ৩ টি তথ্যের জন্য আলাদা আলাদা পরিশোধ করতে হয়। আপনি যদি ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করেন তাহলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ২৩০ টাকা এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন এর জন্য আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ১৫০ টাকা। আপনি যদি ব্যক্তিগত তথ্য ও অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ৩৪৫ টাকা।
রায়হান আইটির শেষ কথা
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন কিভাবে করবেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের এই আর্টিকেল দেখে আপনারা খুব সহজে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কোন ধরনের সমস্যা থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে ভূল করবেন না।
রায়হান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url