নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা কি কি - নিম পাতার উপকারিতা

স্টাইলিশ ফেসবুক আইডির নাম

নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। নিম পাতা আমাদের বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার সমাধান দিয়ে থাকে। নিম পাতার ব্যবহার করে আমাদের বিভিন্ন রোগের সমাধান পাওয়া যায়। নিম পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের নিম পাতা খেতে হয়৷ কিন্তু নিম পাতা অতিরিক্ত পরিমানে তিতা হওয়াত ফলে এটি খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যায় আমাদের জন্য। নিম পাতা গুড়ো করে এর বড়ি বানিয়ে খাওয়া যায়।

নিম পাতার গুড়া করার নিয়ম , নিম পাতার গুড়া খাওয়ার সহজ উপায় কি, নিম পাতার গুড়া দিয়ে বড়ি তৈরি করার নিয়ম, নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা, নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার, এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতার ক্ষতিকর দিক

নিম পাতা বিভিন্ন ধরনের রোগ সারাতে আমাদের সাহায্য করে থাকে। নিম পাতার রস দিয়ে বিভিন্ন ভেষজ অষুধ তৈরি করা হয়ে থাকে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করবো নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে এবং নিম পাতার বড়ি খাওয়াত উপকারিতা কি কি সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

আজকের আর্টিকেলের বিষয় সমূহ 

  • নিম পাতার গুড়া করার নিয়ম 
  • নিম পাতার গুড়া খাওয়ার সহজ উপায় কি 
  • নিম পাতার গুড়া দিয়ে বড়ি তৈরি করার নিয়ম 
  • নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা 
  • নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় 
  • ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার 
  • এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার 
  • চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার 
  • নিম পাতার ক্ষতিকর দিক 
  • নিম পাতার গুড়া সম্পর্কে আমাদের মতামত 

নিম পাতার গুড়া করার নিয়ম 

আমরা চাইলে নিম পাতা বিভিন্ন ভাবে গুড়ো করতে পারি। নিম পাতার গুড়ো কেনো করা হয়ে? নিম পাতা গুড়ো করার মূল কারণ হলো সেগুলো যেন কোন অসুবিধা ছাড়া খেতে পারি। আমরা জানি নিম পাতা অনেক তিতা হয়ে থাকে। যার কারণে এটি খাওয়া আমাদের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। নিম পাতা গুড়ো করল্র আমরা সেটি সকালে সেবন করতে পারবো কোন অসুবিধা ছাড়া। তাছাড়া নিম পাতার গুড়ো বিভিন্ন ওষুধ এর বড়ি হিসেবেও সেবন করা যাবে। এখন সবার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আর সেটি হচ্ছে আমরা নিম পাতা কিভাবে গুড়ো করতে পারি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে নিম পাতা গুড়ো করা যায়। 

প্রথমে আপনাকে নিম পাতা সংগ্রহ করতে হবে। অবশ্যই ভালো এবং পরিষ্কার দেখে সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করা নিম পাতা গুলো ভালো ভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে যেনো কোম ধরনের ময়লা অবশিষ্ট না থাকে। পরিষ্কার করা নিম পাতা গুলো ভালোভাবে রোদে শুকাতে হবে। যখন নিম পাতা গুলো রোদে শুকিয়ে মচমচে হয়ে যাবে তখন ব্লেন্ডার বা কোন মিক্সার মেশিনে গুড়ো করে নিতে হবে। আপনি চাইলে কোন কিছু দিয়ে পিষে গুড়ো করতে পারবেন। এরপর এই গুড়ো গুলো পানির সাথে মিশিয়ে কিংবা বড়ি বানিয়ে সেবন করতে পারবেন। এইভাবে মূলত নিম পাতার গুড়ো করা হয়ে থাকে। 

নিম পাতার গুড়া খাওয়ার সহজ উপায় কি 

নিম পাতার গুড়া কিভাবে সেবন করতে সে সম্পর্কে অনেকেই জানে না। নিম পাতার গুড়া আপনার সুবিধা মতো সেবন করতে পারবেন। আমরা জানি নিম পাতা অনেক তিতা হয়ে থাকে যার কারণে এটি সেবন করা আমাদের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। নিম পাতার গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করতে পারবেন আবার গুড়া গুলো বড়ি বানিয়ে খেতে পারবেন। কিংবা পানি দিয়ে এর পেস্ট বানিয়েও সেবন করতে পারবেন। আপনি যেভাবে নিম পাতার গুড়া খেতে পারবেন সেভাবে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

নিম পাতার গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে বড়ি বানিয়ে খেতে পারবেন এতে আশা করি আপনার কোন ধরনের পিতা অনুভব হবে না। আপনার যেভাবে খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হবে সেভাবেই খাবেন। নিমপাতা পিতা হওয়ার ফলে অনেকেই খেতে চায় না কিন্তু নিম পাতার উপকারিতা রয়েছে। তাই এটি যেভাবে খেলে আপনার তিতা অনুভব হবে না সেভাবে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে পানির সাথে মিশিয়ে বা বড়ি বানিয়ে খেলে অল্প পরিমানে তিতা লাগবে। 

নিম পাতার গুড়া দিয়ে বড়ি তৈরি করার নিয়ম 

নিম পাতা গুড়া দিয়ে আপনি খুব সহজে বড়ি তৈরি করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে কিছু পরিষ্কার-পাতা সংগ্রহ করতে হবে এবং এগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে দিতে হবে। যখন নিমপাতা গুলো মচমচে হয়ে আসবে তখন ব্লেন্ডার কিংবা অন্যান্য মিক্সার মেশিন দিয়ে ভালোভাবে গুরু করে নিতে হবে। এরপরে গুড়া গুলো পেস্ট বানিয়ে এগুলো দিয়ে
বড়ি বানাতে পারবেন। বডি বানানো হয়ে গেলে কিছু দিনের রোদে শুকিয়ে একটি কাঁচের বৈয়ামে সংগ্রহ করতে হবে এবং এগুলো অনেকদিন পর্যন্ত মজুদ করা যাবে।  

আপনি এভাবে যদি বড়ি বাড়াতে না পারেন তাহলে অন্য আরেকটি মাধ্যম আছে যেটার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে নিম পাতার বড়ি তৈরি করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে কিছু নিমপাতা সংগ্রহ করতে হবে। নিম পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিম পাতার সাথে কিছু মিক্স করে ব্লেন্ডারে মিক্স করে নিতে হবে। ব্লেন্ডারে দেওয়া নিম পাতা গুলো যখন পেস্ট হয়ে যাবে তখন সেগুলোর নামিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। নিম পাতার পেস্টগুলো যখন শুকিয়ে যাবে তখন আপনার পরিমাণ মতো পেস্ট দিয়ে বড়ি তৈরি করুন। তৈরি করা বড়িগুলো রোদে শুকাতে দিন। রোদে শুকানোর পর আপনি বড়ি গুলো সেবন করতে পারবেন।  

আপনি এই উপায় গুলো ব্যবহার করে খুব সহজে নিমপাতার গুড়া দিয়ে পেস্ট বানিয়ে বডি তৈরি করতে পারবেন। এগুলো সব থেকে সহজ পদ্ধতি যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন খুব সহজে। আপনার তৈরি করা বড়িগুলো আপনার বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারবেন এবং ওষুধ হিসেবে সেবন করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন নিম পাতার গুড়া দিয়ে কিভাবে বড়ি তৈরি করতে হয়।  

আরো পড়ুনঃ এইচআইভি থেকে বাঁচার ২০ টি উপায়

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যান্ডের থাই গ্লাসের দাম কত

নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা 

নিম পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। নিমপাতা প্রায় সকল ধরনের অসুখের সমাধান দিয়ে থাকে। আপনি যে নিম পাতার বড়িগুলো তৈরি করেছেন সেগুলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়মিত খেতে হবে। এর ফলে আপনার বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাবেন। নিম পাতার বড়ি খাওয়ার বেশ উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে নিমপাতার বডি গুলো খেতে পারে তাহলে আপনি অনেকগুলো রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে আপনার পাচন প্রক্রিয়া ভালো থাকবে, পেটের অসুখ নিরাময় হবে, আপনার শরীর সজাগ থাকবে, আপনি যদি অতিরিক্ত মোটা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন কমে যাবে, এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।  

এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে সকালে নিম পাতার বড়ি খান তাহলে আপনার খাবার ডাইজেশন হওয়ার প্রক্রিয়াটি ঠিক থাকবে। তাছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন খালি পেটে একটি করে নিম পাতা খান তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দূর হবে। আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করবে। বিষাক্ত কোনো কিছুর কামড়ের প্রতিষেধিক হিসেবে কাজ করবে। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।  

আপনি যদি এ রোগগুলো থেকে নিরাময় পেতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন নিয়ম করে নিম পাতার বড়ি খেতে হবে। কোন ধরনের অবহেলা করা যাবে না। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে এসব করার আগে আপনাকে প্রথমে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপর নিম পাতার বড়ি গুলো সেবন করবেন। একটা কথা মাথায় রাখবেন আপনারা যদি ভালো ফলাফল পাওয়ার আশা থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিম পাতার বড়ি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আশা করি আপনি আপনার নিজের শরীরের সুস্থ রাখার জন্য নিম পাতার বড়ি বেশ কার্যকর হবে।  

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় 

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়া যায় এইটা হয়তো অনেকেই জানে না। নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো। প্রথমে কিছু ফ্রেশ নিম পাতা সংগ্রহ করুন। সংগ্রহ করা নিম পাতা গুলো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর কোন ব্লেন্ডার বা মিক্সার মেশিন ব্যবহার করে নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। আপনি এইগুলো লাগাতে পারবেন না। এর সাথে আপনার আরো কয়েকটি জিনিস যোগ করতে হবে। নিম পাতাত পেস্টের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারবেন। আবার নিম পাতার পেস্টের সাথে কাঁচা হলুন বা টক দই মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন।  

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার জন্য আপনাকে এই পেস্ট প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যবহার করতে হবে। এটি কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান। মুখে নিম পাতার পেস্ট লাগানোর পূর্বে আপনার মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন যেনো কোন ধরনের ময়লা না থাকে। এরপর শুকনো কাপড় দিয়ে মুখ ভালোভাবে শুকিয়ে নিবেন। মুখ ভালোভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর আপনাত তৈরি নিম পাতার পেস্ট মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রাখার পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। 

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার 

ব্রণের সমস্যা আমাদের মাঝে সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের অনেকের মুখে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ উঠে গেছে। ব্রণ আমাদের চেহেরাটা নষ্ট করে দেয়। এই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের অনেকেই অনেক ভাবে চেষ্টা করে কিন্তু কোন সমাধান পায় না। তাই আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে আসলাম ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আবার জানেন না নিম পাতা ব্যবহার করে আমরা আমাদের মুখে ব্রণ এর সমস্যা দূর করতে পারি। তাহপে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ব্রণের জন্য নিম পাতা ব্যবহার করবেন। নিম একটি আয়ুর্বেদিক উপাদান। সে আদিম যুগ থেকে মানুষের চিকিৎসার কাজে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রকৃতিতে কোন ধরনের ভেজাল থাকে না তাই আপনি এটি নির্ভয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। 

ব্রণ দূর করার জন প্রথমে পরিষ্কার নিম পাতা সংগ্রহ করুন। ভালোভাবে ধুরে পরিষ্কার করে যেকোন মিক্সার দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তৈরি করা পেস্ট এইবার আপনার মুখে যেখানে ব্রণ আছে সেখানে ব্রণের উপর হাতের আঙ্গুলে নিয়ে লাগিয়ে দিন। এরপর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে সম্পূর্ণ মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সম্পূর্ণ মুখে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যেখানে ব্রণ দেখা যাবে সেখানে লাগাবেন। ভূলেও আপনার সম্পূর্ণ মুখে লাগানোর চেষ্টা করবেন না। সরাসরি নিম পাতা আমাদের মুখে লাগানো উচিৎ নয়। আমাদের সবার স্কিন টাইপ ও কন্ডিশন সেইম থাকে না।  

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার 

আমাদের মধ্যে অনেকেরই এলার্জি সমস্যা রয়েছে। এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা অনেকে অনেক রকমের ঔষধ ব্যবহার করে থাকি। তবুও আমাদের শরীর থেকে এই এলার্জি সহজে দূর হয় না। শরীরে এলার্জি হলে তা মারাত্মকভাবে জ্বলনের সৃষ্টি হয়। আপনার যদি এলার্জি জনিত কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিমপাতা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে এলার্জি থেকে মুক্তি পাবেন। আমরা সবাই জানি নিম পাতা হল একটি ঔষধি গাছ। আদি যুগ থেকে আজ পর্যন্ত নিম পাতা ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটির ঔষধি গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক এলার্জিতে কিভাবে নিম পাতার ব্যবহার করবেন।  

  • প্রথমে সংগ্রহ করুন পরিষ্কার দেখে নিমপাতা।  
  • আপনার সংগ্রহ করা নিম পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।  
  • এরপর রোদে দেওয়ার মাধ্যমে নিম পাতাগুলোকে শুকনো করে নিন।  
  • নিম পাতা শুকনো মচমচে হয়ে গেলে এরপর সেগুলোকে ব্লেন্ডার মেশিন দিয়ে গুড়ি করে নিন।  
  • গুঁড়ো করা নিমপাতা গুলো একটি কাছের পাত্রের সংগ্রহ করে রাখুন।  
  • এখন আমরা জানবো কিভাবে নিম পাতার ঔষধ সেবন এর মাধ্যমে আমরা অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারি।  
  • একটি চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ পরিমান গুঁড়ো করা নিমপাতা নিন। 
  • নিম পাতার সাথে কিছু ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে পানিতে ভিজিয়ে দিন। 
  • ভিজিয়ে রাখার নিম পাতা ও ইসবগুলের ভুষি গুলো সকালে খালি পেটে এবং দুপুরে খাওয়ার আগে খেয়ে নিবেন।  
  • ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে এটি ৩০ দিন পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে। 
  • নিমপাতা নিয়ে সেগুলো সিদ্ধ করে পানিগুলো গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে নিন।  

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার 

চর্ম রোগের চিকিৎসা নিম পাতার ব্যবহার সেই আদি যুগ থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যাদের চর্মরোগ জনিত সমস্যা রয়েছে তারা নিমপাতা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নিম পাতার ঔষধি গুনাগুনের ফলে আমাদের চর্মরোগ খুব সহজেই সমাধান হয়ে যায়। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করবেন। 

  • নিম পাতা হল ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী একটি উদ্ভিদ। এটি আমাদের ত্বকের সুরক্ষায় ব্যাপকভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।  
  • আপনার যদি চর্মরোগ জনিত সমস্যা থাকে তাহলে নিমপাতা কে একটু করে থেঁতলে আপনার চর্মরোগ স্থানে লাগিয়ে দিন।  
  • নিমপাতা নিয়ে সেগুলো সিদ্ধ করে পানিগুলো গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে নিন। যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা আছে তাদের সেটিও ঠিক হয়ে যাবে।  
  • যাদের জন্ম রোগের সমস্যা রয়েছে তারা নিম পাতা বেটে তার সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে চর্মরোগ হওয়ার স্থানে লাগিয়ে দিতে পারেন।  

আপনার তৈরি করা নিম পাতার গুঁড়ো গুলো খাওয়ার পূর্বে একজন ভালো ডাক্তারের নিকট পরামর্শ নিবেন। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা উচিত নয়। আমাদের পরিমাণের মধ্যেই নিম পাতার বড়ি সেবন করতে হবে।  

নিম পাতার ক্ষতিকর দিক 

উপকারের পাশাপাশি নিমপাতা তে রয়েছে বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক। নিম পাতা ব্যবহার করার পূর্বে আমাদের এই ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নেওয়া উচিত। আমরা জানি নিমপাতা কে ঔষধি গাছ কিন্তু এর ব্যবহারে রয়েছে কিছু বিধি-নিষেধ। ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে কিভাবে কি ব্যবহার করতে হয় এবং কতটুকু পরিমাণ ব্যবহার করলে আমাদের কোন ক্ষতি হবে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। 

  • প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পরিমাণে নিম পাতা ব্যবহার করলে এলার্জি কমার পরিবর্তে আরো বেড়ে যেতে পারে।  
  • বেশি পরিমাণে নিম পাতা বা নিম পাতার বড়ি খেলে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।  
  • নিম পাতা বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যায়। 
  • যারা গর্ভাবস্থায় আছেন তাদের জন্য এটি অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় নিমপাতা এড়িয়ে চলুন।  
  • অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতা ব্যবহার করলে আমাদের শরীরের মধ্যে ফুস্কুড়ি জনিত সমস্যা হতে পারে।  
  • অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতা খেলে আমাদের বমি বমি ভাব হতে পারে অথবা বমি পর্যন্ত হতে পারে।  

নিম পাতা ব্যবহার করার সময় অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতা ব্যবহার না করি। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে আমাদের উচিত নিম পাতা কতটুক ব্যবহার করব তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া। নিজের ইচ্ছামতো নিমপাতা ব্যবহার করলে আমাদের সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আমরা আর অসুস্থ হয়ে পড়বো। নিম পাতার উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমাদের পরিমাণ মতো নিম পাতা ব্যবহার করতে হবে। নিম পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।  

রায়হান আইটির শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাদের মাঝে আজকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। নিম পাতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি যা আপনাদের অনেক কাজে আসবে। নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা কি কি সে সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছে। আমাদের পোস্টে আজকের অংশ ছিল নিম পাতা গুঁড়ো করার নিয়ম, নিম পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা কি কি, ব্রণের জন্য নিমপাতা ব্যবহার, এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতার ক্ষতিকর দিক সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের আজকের আর্টিকেলে নিম পাতার উপকারিতা ও নিম পাতার অপকারিতা সম্পর্কে সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রায়হান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url