দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সমূহ

বিদেশী ফুলের ছবি । বিভিন্ন ফুলের ছবি

প্রেসার হাই হয়ে যাওয়া এখন খুব কমন একটা জিনিস। আমাদের মধ্যে কম বেশি সবার হাই প্রেসার রয়েছে। হঠাৎ করেই আমাদের প্রেসার হাই হয়ে যায়। এর ফলে আমরা দুশ্চিন্তাই পরে যায় এর সমাধান নিয়ে। দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়, হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করনীয়, প্রেসার হাই হলে কি খাবার খেতে হবে এই সব বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের এই পোস্ট।

দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সমূহ, প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে , হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে যা খাবেন , হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না, হঠাৎ হাই প্রেসা

প্রেসার হাই হওয়ার অনেক গুলো কারণ আছে যার মধ্যে অন্যতম হলো কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন করা। অতিরিক্ত টেনশনের ফলে আমাদের প্রেসার হাই হয়ে যায়। আমাদের প্রেসার হাই হয়ে গেলে এইটা মহামারি আকার ধারণ করে এবং মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ম দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়, হঠাৎ হাই প্রেসার হলে আমাদের করণীয় কি, প্রেসার হাই হলে কি খাবার খেতে হবে আবার কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, প্রেসার হাই হলে আমাদের কি করা উচিৎ এই সম্পর্কে আপনাদের মাঝে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। তাহপে চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের এই পোস্ট।

ভূমিকা - দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

আমাদের মধ্যে পরিচিত একটি সমস্যা নাম হলো প্রেসার হাই হয়ে যাওয়া। সঠিক সময়ে প্রেসারের চিকিৎসা না করলে আমাদের মারাত্মক স্বাস্থ্যহানি পর্যন্ত হতে পারে। আমাদের যাদের হাই প্রাসের সমস্যা আছে তাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। আমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্ত বয়ষ্ক আছে তাদের মধ্যে অনেকেই বুঝতে পারে নাই তাদের হাই প্রেসার এর কথা। হাই প্রেসার হলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। কারণ প্রেসার হাই হয়ে বেড়ে গেলে আমাদের জীবনহানি হওয়ার আশংকা থাকে। তাই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন। যেসব কারণে প্রেসার হাই হয়ে থাকে সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। 

দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়াকে আমরা সাধারণত হাই প্রেসার বলে থাকি। যুবক থেকে বৃদ্ধ সবাই হাই প্রেসার জনিত সমস্যায় ভুগতেছেন। এই রোগ চেপে রাখলে বা নীরব অবস্থায় থাকলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করে থাকে। এই রোগ বৃদ্ধি পেলে মানুষের হৃদরোগ ও স্টোক পর্যন্ত হতে পারে এবং পরিশেষে হবে মৃত্যু। তাই হাই প্রেসার জনিত সমস্যা থাকলে দ্রুত হাই পেশার কমানোর উপায় গুলো মেনে চলুন। হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের পোস্টে এই অংশে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। 

দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সমূহ, প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে , হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে যা খাবেন , হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না, হঠাৎ হাই প্রেসা

শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করা:- আমাদের সবার প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করা উচিৎ। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ বাড়ে না। আমাদের রক্তচাপ এর পরিমান ঠিক থাকে। আপনার যদি হাই প্রেশার হয়ে থাকে তাহলে আপনার উচিৎ প্রতিদিন নিয়মিত করে শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করা। এতে আপনাদের হাই প্রেসারের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।

শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা:- আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকলে আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবো। শরীরে অতিরিক্ত পরিমানে ওজন থাকলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই হয়ে থাকি। যাদের শরীরে একটু ওজন বেশি তারা বিভিন্ন সময় অসুস্থ থাকে। আপনার যদি হাই প্রসারের সমস্যা থাকলে তাহলে আপনার দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। 

গভীর শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস:- আপনার যদি হাই প্রেসারের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি চেষ্টা করবেন তখন গভীর শ্বাস নেওয়ার জন্য। দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর এইটা অনেক কার্যকরী একটা উপায়। গভীর শ্বাস নেওয়ার ফলে আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমাদের শরীরকে শীতল করতে সাহায্য করে। তাই আপনার প্রেসার বৃদ্ধি পেলে সাথে সাথে চেষ্টা করবেন গভীর শ্বাস নেওয়ার জন্য।

মানসিক চাপ কমানো:- মানসিক চাপ আমাদের বিভিন্ন ভাবে শরীরের ক্ষতি করে থাকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোন না কোন কারণে আমরা মানসিক ভাবে চিন্তাগ্রস্ত থাকি। আমাদের প্রেসার বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো আমাদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়া। তাই আপনার যদি মানসিক ভাবে বেশি চিন্তিত থাকেন তাহলে চেষ্টা করবেন নিজেকে শান্ত রাখা। না হয় আমাদের এই মানসিক চাপের কারণে প্রেসার হাই হয়ে যেতে পারে।

সঠিক পরিমানে ঘুমানো:- আমাদের ঘুম কম হওয়ার কারণে আমাদের অনেক সময় প্রেসার হাই হয়ে যায়। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো উচিত। বেশি রাত করে না জেগে থেকে আমাদের উচিৎ যথাসময়ে ঘুমিয়ে যাওয়া। পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম হলে আমাদের শরীর ও মন দুইটাই ভালো থাকে। তাই দ্রুত প্রেসার দূর করতে চাইলে বা হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পেতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান।

ডার্ক চকলেট খাওয়া:- ডার্ক চকলেট এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনরেড যা আমাদের যৌন রক্তনালি শীতল করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেলে আমাদের প্রেসার হাই জনিত সমস্যা হয় না। তাই আপনার হাই প্রেসার দ্রুত কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়মিত করে ডার্ক চকলেট খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তবে অতিরিক্ত পরিমানে না খাওয়াই ভালো। পরিমান মতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

সঠিক পরিমানে পানি খাওয়া:- পানির ওপর নাম জীবন। পানিকে আমাদের জীবনের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আমাদের নিয়মিত পানি খাওয়া উচিত। একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষের দিনে গড়ে ২-৩ লিটার পরিমান পানি খাওয়া উচিত। যখন অতিরিক্ত পরিমানে গরম পরে তখন আমাদের বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে। পানি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর ভালো থাকে। বিভিন্ন রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর জনক্স আমাদের নিয়মিত পানি খাওয়া উচিত।

প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে 

হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ বৃদ্ধিতে ওষুধের পাশাপাশি ভালো খাদ্য অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যা বা হাই প্রেসারেএ সমস্যা থাকলে ওষুধের পাশা পাশি আমাদের খেতে হবে ভালো ভালো খাবার। আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবন গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই আমরা সুস্থ থাকতে পারবো। আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে আমাদের হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ শুধুমাত্র ওষুধ খেলেই ভালো হয়ে যাবে। চিরতরে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সুস্থ সুশৃঙ্খল জীবনের পাশাপাশি আমাদের খাদ্যাভ্যাসও পরিবর্তন করতে হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়ষ্ক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার হাই প্রেসার জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। আমরা অনেকই মনে করি শুধুমাত্র বয়ষ্ক লোকদের হাই প্রেসার জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। যার কারণে প্রাপ্ত বষ্কের ছেলে-মেয়েরা হাই প্রেসার কে অবহেলা করে থাকে। আমাদের অসচেতন চলাফেরা এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এর কারণে আমাদের হাই প্রেসার জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। দ্রুত হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।

হাই প্রেসার কমাতে যা খেতে পারেন:-

  • খাবারের তালিকায় প্রথমে রাখার চেষ্টা করবেন ফলমূল ও শাকসবজি জাতীয় খাবার। যেমন, কলা লেবু টমেটো বেগুন বিভিন্ন ধরনের সবজি কমলা আপেল ইত্যাদি জাতীয় খাবার গুলো। 
  • পটাশিয়ামযুক্ত খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে থাকে। বেশি পরিমাণ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। পটাশিয়াম যুক্ত খাবার গুলো হল ডাবের পানি, টমেটো, কলা, লেবু, আঙ্গুর, রসুন, পেঁয়াজ, তরমুজ, ইত্যাদি জাতীয় খাবার। 
  • পেপে, পেয়ার, নারিকেল, নাশপাতি, বেদানা এ জাতীয় খাবারগুলো প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এই খাবারগুলো অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। পরিমাণ মতো অল্প অল্প করে প্রতিদিন খেতে পারেন। আশা করি ভালো একটি ফলাফল দেখতে পাবেন।

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে যা খাবেন 

আমাদের মধ্যে বর্তমানে হাই প্রেসার সমস্যায় সবাই ভুগতেছেন। এটার কারণগুলো হতে পারে যেমন, অতিরিক্ত মানুষের টেনশনে থাকা, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার না, খাওয়া পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানো ইত্যাদি কারনে। আমরা সাধারণত প্রেসার বেড়ে গেলে সবাই ওষুধমুখী হয়ে পরি। কিন্তু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেন অতিরিক্ত পরিমাণে ওষুধ না খেয়ে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এবং চলাফেরার ধরন পরিবর্তন করতে পারলে এ রোগ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। 

আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা হাই প্রেসারের জনিত সমস্যায় ভুগতেছেন শুধুমাত্র খাদ্য অভ্যাস এর কারণে। আপনার যদি প্রতিদিন এর খাবার তালিকার মধ্যে ভিটামিন ও পটাশিয়ামযুক্ত খাবার রাখতে পারেন তাহলে আপনি হাই প্রেসার জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে কি কি খেতে পারেন বা হাই প্রেসার হলে আমাদের কি খাওয়া উচিত। 

কুমড়ার বীজ:- আমরা কমবেশি সবাই কুমড়ো খেয়ে থাকি কিন্তু এর বীজ আমরা সবাই ফেলে দি খাইনা। কুমড়ার সাথে সাথে কুমড়ার বীজগুলো অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। আপনার যদি হাই প্রেসার জনিত কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। কুমড়ার বীজ খাওয়ার ফলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। 

বিট রস:- বিট রস সবজিটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি জিনিস। অন্যান্য সবজির তুলনায় এই সবজিতে ভালো গুণাগুণ পাওয়া যায়। আপনাদের মধ্যে যারা হাই প্রেসার জনিত সমস্যায় ভুগতেছেন তারা চেষ্টা করবেন প্রতিদিন বিট রস সবজি খাওয়ার জন্য। এই বিট রস আমাদের ধমনী শীতল রাখে এবং আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। 

টমেটো:- টমেটো মূলত শীতকালীন সবজি। কিন্তু বছরের সব দিনই টমেটো বাজারে পাওয়া যায়। টমেটো শরীরের জন্য বেশ উপকারী একটি ফল বা সবজি। টমেটো তো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং এতে আরও রয়েছে ক্যারোটিনাইয়েড পিগমেন্ট লাইকোপিন। এই উপাদানগুলো আমাদের রক্তচাপ এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। 

তেঁতুলের রস ও টক দই:- আমরা কম বেশি সবাই তেতুল চিনে থাকে। তেতুল একটি টক জাতীয় খাবার। এটা দিয়ে আচার বানানো হয়ে থাকেন। তেঁতুল বা তেতুলের রস হাই প্রেসার জনিত সমস্যার জন্য বেশ উপকারী একটি জিনিস। যাদের হাই প্রেসার জনিত সমস্যা আছে তারা নিজের কাছে কিছু পরিমাণ তেতুল বা তেতুলের রস রেখে দিতে পারেন। যখন আপনার প্রেসার হাই হয়ে যাবে তখন সাথে সাথে একটু করে তেঁতুল বা তেতুলের রস খেয়ে নিবেন। তাহলে খুব দ্রুতই আপনার প্রেসার ঠিক হয়ে যাবে। আপনার কাছে যদি তেঁতুল না থাকে তাহলে টক দই এর মাধ্যমে আপনার হাই ব্লাড বা জনিত সমস্যা দূর করতে পারবেন। যখন প্রেসার জনিত সমস্যা দেখা দিবে তখন সামান্য পরিমাণে টক দই খেয়ে নিবেন। তেতুলের রস এবং টক দই দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর জন্য বেশ উপকারী একটি জিনিস। এগুলো সব সময় আপনার সাথেই রাখুন। 

আমরা ইতিমধ্যেই উপরে আপনাদের জন্য কিছু খাবার শেয়ার করেছি যেগুলো আপনার প্রেসার হাই হয়ে গেলে খেতে পারবেন। এগুলো খাওয়ার ফলে আপনার প্রেসার খুব অল্প সময়ে কমে যাবে। 

হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না

বর্তমান সময়ে সব বয়সের মানুষের হাই প্রসার জনত সমস্যা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের মানসিক টেনশন বা আমাদের অস্বাস্থ্যকর কর চলাফেরা হাই প্রেসার হওয়ার মূল কারণ। আমাদের খাবার পরিবর্তন করতে না পারলে আমরা হাই প্রেসার থেকে এতো সহজে মুক্তি পাবো না। প্রসাএ হাই হলে আমাদেএ রক্তচাপের পরিমান বেড়ে যায়। এর ফলে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে। এর ফলে।আমাদের ডায়াবেটিস, কিডনিজনিত রোগ এর সৃষ্টি হতে পারে। তাই দ্রুত হাই প্রেসার কমাতে চাইলে খাদ্যাভ্যাস পরিবির্তন করুন। হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

লবণ:- আমরা খাবার এর সাথে কাঁচা লবণ খেয়ে থাকি। অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খাওয়া উচিত না। বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন, তেতুল, পেয়ারা, কাঁচা আম আরো বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে আমরা লবণ দিয়ে খেয়ে থাকি। চনাবুট, পেয়াজু এর সাথেও আমরা বিটলবণ খেয়ে থাকি। যার কারণে আমাদের প্রসার হাই হয়ে যায়। কাঁচা লবণ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আমাদের প্রেসার হাই হয়ে যায়। তাই দ্রুত প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাঁচা লবণ খাওয়া বাদ দিন।

কফি:- কফি আমাদের সবার একটি প্রিয় খাবার। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা প্রতিদিন কফি খেয়ে থাকে। আমরা অনেকেই জানি না কফি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। কফিতে থাকা ক্যাফেইন নামন উপাদান আছে যা আমাদের রক্তের সাথে মিশে আমাদের রক্তচাপ বাড়িতে দেয়। এর ফলে আমাদের স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। তাই প্রেসার দূর করতে চাইলে কফি খাওয়া বাদ দিন।

ফাস্টফুড ও বেকারি খাবার:- বর্তমান সময়ে ফাস্টফুড এবং বেকারির খাবার বেশ জনপ্রিয় মানুষের কাছে। সবাই ফাস্টফুড এবং বেকারির খাবার পছন্দ করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড এবং বেকারির খানার গ্রহন করলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। এই খাবার গুলো ঠিক রাখার জন্য যে উপাদান গুলো ব্যবহার করা হয় তা মানুষের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ফাস্টফুড খাবার গুলো তৈলাক্ত জাতীয় খাবার। অতিরিক্ত পরিমাণে ভাজা পোড়া খেলে আমাদের রক্তচাপ এর পরিমান বেড়ে যায়।

লাল মাংস:- মাংস পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। লাল মাংস অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আমাদের প্রেসার হাই হয়ে যায়। গরুর মাংস, খাসির মাংস ও মহিষের মাংস প্রয়োজনের বেশি পরিমানে খেলে আমাদের প্রেসার অনেক হাই হয়ে যায়। আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোলেস্টেরল এর পরিমান বেড়ে গেলে আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি পাই। রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আমাদের স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।

মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করুন:- মিষ্টিজাতীয় খাবার গুলো আমাদের কোলেস্টেরল এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়। মিষ্টি বেশি পরিমানে খেলে আমাদের শরীরের মেদ বেড়ে যায়। মানুষ মোটা পর্যন্ত হয়ে যায়। চিনিযুক্ত খাবার খেলে কোলেস্টেরল এর পরিমান বেড়ে যায়৷ মোটা হলে আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং সেখান থেকে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই দ্রুত হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো পরিহার করুন।

ডিমের কুসুম:- ডিম আমাদের প্রিয় একটি খাদ্য উপাদান। আমরা ডিম বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খেতে ভালোবাসি। ডিমের কুসুম খাওয়ার ফলে আমাদের প্রেসার হাই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা থেকে পরবর্তীতে আমাদের হার্ট স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। তাই আপনার যদি হাই প্রেসার জনিত সমস্যা থাকে তাহলে ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আচার ও সস জাতীয় খাবার:- অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে হাই প্রেসার হলে তো মানুষ টক জাতীয় খাবার খেতে পারে তাহলে আচার ও সস কেনো খেতে পারবে না। কারণ আচার ও সস এর মধ্যে রয়েছে লবন ও চিনি, লবণ ও চিনি দেওয়া আচার ও চচ হাই প্রেসার রোগীরা এড়িয়ে চলা উচিৎ।

অ্যালকোহল:- যারা অ্যালকোহল পান করে তাদের মধ্যে হাই প্রেসার জনিত সমস্যা দেখা যায় বেশি। অ্যালকোহল পান করার ফলে আমাদের রক্তেরচাপ বেড়ে যায় যার কারণে আমাদের প্রেসার হাই হয়ে যায়। তাই প্রেসার দূর করতে চাইলে অ্যালকোহল পান করা বাদ দিন।

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষন

কীভাবে বুঝবেন আপনার প্রেসার হাই হয়ে গেছে বা হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষন সমূহ কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাহপ্লে চলুন দেখে নেওয়া যাক হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষন সমূহ কি কি।কীভাবে বুঝবেন আপনার প্রেসার হাই হয়ে গেছে বা হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষন সমূহ কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাহপ্লে চলুন দেখে নেওয়া যাক হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষন সমূহ কি কি।

  • আপনার রক্তচাপের পরিমান যদি ১৩০/৮০ mmHg বা এর বেশি হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার হাই প্রেসারের সমস্যা আছে। আপনার প্রেসারের পরিমান যদি এইরকম হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
  • বিভিন্ন ধরনের স্টেজ রয়েছে হাইপার টেনশন এর। আমাদের মধ্যে অনেকের মানসিক ও পারিবারিক সমস্যার কারণে হাই প্রেসারের সমস্যা হয়ে থাকে। আবার অতিরিক্ত গরম এর কারণেও প্রেসারের সমস্যা হতে পারে। সেটা হাই প্রেসার বা লো প্রেসার হতে পারে। আপনার যদি ১২০/৮০ mmHg পরিমাণ প্রেসার থাকে তাহলে সেটি নরমাল তবে এর পরিমান যদি কমে ৯০ mmHg এবং বেড়ে ১৪০ mmHg হয়ে যায় তাহলে আপনার জন্য অনেক ক্ষতি হবে।
  • সাধারণত হাই প্রেসারের কোন প্রাথমিক লক্ষন থাকে না। তবে আপনার প্রেসার হাই হয়ে গেলে মাথা ঘোরা, চোখে ব্যাথা হওয়া, ঘাড়ের পিছনে ব্যাথা অনূভুতি হওয়া এবং চোখ ব্যাথা করা ইত্যাদি। অনেকের আবার উচ্চ রক্তচাপের ফলে নাক দিয়ে রক্ত যায়, চোখে রক্ত জমাট বেধে যায়। 

উপরে উল্লেখ করা লক্ষন গুলো দেখতে পেলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বর্তমান সময়ে যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের সবার হাই প্রেসার জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। তবে যুবকদের মাঝে এখন হাই প্রেসার জনিত সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণ 

হাই প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :-

  • ধূমপানে আসক্ত হয়ে যাওয়া 
  • অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খাওয়া 
  • মানুষের বয়স ৬৫ এর ঊর্ধ্বে হয়ে যাওয়া 
  • শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া 
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম না করা 
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানো অর্থাৎ রাতে ৬ থেকে ৮ ঘন্টার কম ঘুমানো 
  • নিয়মিত শাকসবজি ও ফলমূল না খাওয়া 
  • পরিবারের মধ্যে কারো হাই প্রেসারে সমস্যা থাকলে 
  • অধিক পরিমাণে চা, কফি, কোমল জাতীয় পানি ও অন্যান্য বলে ক্যাফেইন জাতীয় পানি সেবন করা 

হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় 

বর্তমানে এমন কিছু মানুষও আছে যারা প্রতিনিয়ত হাই প্রেসার জনিত সমস্যায় ভুগতেছেন। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট। আপনার উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। আমাদের সবারই উচিত কিছুদিন পরপর রক্তচাপ এর পরিমাণ চেকআপ করা। যদি সিস্টোলিক এর পরিমাণ ৯০ এর বেশি থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার হাই পেশার জনিত সমস্যা আছে। 

দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সমূহ, প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে , হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে যা খাবেন , হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না, হঠাৎ হাই প্রেসা

আমাদের রক্তের চাপ বেড়ে গেলে অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ হলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা নাও যেতে পারে। লক্ষণ ছাড়াও আমাদের হাইপ্রেশার জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। হাই প্রেসার এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো হল বুকে ব্যথা করা, মাথা ব্যাথা করা, ঘাড়ে ব্যাথা করা, বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি। আমাদের রক্তের চাপ বেড়ে গেলে আমাদের হৃদরোগ, বৈকল্য এবং সমস্যা হতে পারে এবং এর থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

আপনাদের মধ্যে যাদের হাই প্রেসার জনিত সমস্যা আছে তাদের প্রথম কাজ হচ্ছে দ্রুত হাঁটার অভ্যাস করা। আপনার যদি ওজন অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। আপনি যদি খাবারে কাঁচা লবণ খেয়ে থাকেন তাহলে কাঁচা লবণ খাওয়া বাদ দিন। হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ যাদের আছে তাদের নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। 

যারা ধূমপান করেন ধূমপান থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে। সকল প্রকার মানসিক চিন্তা ও পারিবারিক চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। যতটুক সম্ভব মানসিক চিন্তা ও পারিবারিক চিন্তা নিজেকে দূরে রাখবেন। অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডগুলো স্বাস্থ্যকর হতে হবে। অস্বাস্থ্যকর ভাবে চলাফেরা করলে আপনার এই সমস্যা কখনোই যাবে না। যারা এখনো পর্যন্ত হাই প্রেসার জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হননি তাদেরও উচিত এখন থেকে এই ধরনের অভ্যাসগুলো ত্যাগ করা। অবশ্যই আপনাকে সুস্থ জীবনের জন্য সুন্দরভাবে জীবন গঠন করতে হবে। আমাদের দেওয়া নিয়মগুলো মেনে চললে আপনাদের হাই প্রেসার জনিত কোন সমস্যাই হবে না। 

ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। যেহেতু এই হাই প্রেসার যে কোন মুহূর্তে হতে পারে তাই আপনার হাতের কাছেই ওষুধ গুলো রাখুন। যেন প্রয়োজনে হাতের নাগালে আপনার ওষুধ গুলো পেয়ে যান। ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই আমাদের দেওয়া নিয়মগুলো মেনে চলবেন। তাহলে খুব দ্রুতই আপনি হাই প্রেসার জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। যাদের এখনো পর্যন্ত হাই প্রেসার জনিত সমস্যা হয়নি তারা নির্মিত প্রেসার চেক করুন। হঠাৎ করে প্রেসার বেড়ে গেলে চিন্তিত হওয়ার কোন কিছু নেই। আমাদের দেওয়া গুলো মেনে চলুন তাহলে এই হাই প্রেসারের জমিতে সমস্যার দিকে সহজেই মুক্তি পাবেন। 

হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে কি করতে হবে 

যদি কোন কারনে কোন ব্যক্তির হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যায় তাহলে তার মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালুন। হাতের কাছে বরফ থাকলে মাথায় বরফ লাগিয়ে দিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে এবং তেতুল টক জাতীয় কোন কিছুর খেতে হবে। পানির সাথে মিশিয়ে বা কাঁচা অবস্থায় এই টক জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া যাবে। হাতের গাছে ওষুধ থাকলে প্রেসার ওষুধ গুলো খেয়ে নিবেন। 

হাই প্রেসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি কাদের 

যে সকল ব্যক্তি খুব অল্প পরিমাণে পরিশ্রম করে এবং কোন ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করে না, যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা আছে এবং শরীরের ওজন বেশি হয়ে থাকে তাদের হাই প্রেসার হওয়া ঝুঁকি থাকে।

রক্তচাপ বেড়ে গেলে কি কি রোগ হয় 

আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আমাদের যদি উচ্চ রক্তচাপ হয় বা রক্তচাপের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে আমাদের কি কি রোগ হতে পারে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, রক্তচাপ বেড়ে গেলে বা উচ্চ রক্তচাপ হলে আমাদের কিন্তু রোগ হতে পারে। 

  • কিডনির সমস্যা 
  • হৃদরোগের সমস্যা 
  • হার্টের সমস্যা 
  • স্ট্রোক 
  • হার্ট ফেইলিউর এর সমস্যা
  • শরীরের যে কোন অঙ্গে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং তা পচন ধরা 
  • মস্তিষ্কের রক্তের চাপ কমে যাওয়ার ফলে ডিমেনশিয়া হওয়া 
  • অ্যাওটা নামক দেহের বৃহত্তম ধমনীর রোগ

 রায়হান আইটিত শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি আমাদের আজকের এই পোস্ট দ্রুত হাই প্রেসার জনিত সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় আপনাদের অনেক কাজে লেগেছে। আমরা চেষ্টা করেছি কিভাবে আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্য তুলে ধরা যায়। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে ছিল হাই প্রেসার হওয়ার কারণ, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার কারণ, রক্তচাপ হলে করণীয়, হাই প্রেসার হলে করণীয়, হাই প্রেসার হলে কি খেতে হবে এইসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনাদের সবাই এ বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। আমাদের আজকের এই পোস্ট আপনার যদি কোন কাজে লাগে তাহলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রায়হান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url