ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা কী কী খেতে পারবে
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা | কী কী খেতে পারবে- বর্তমানে ডায়াবেটিস একটি বেশ প্রচলিত রোগ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মানুবর্তী জীবন ও ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিসকে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এর জন্য শুধু ক্যালরি, শর্করা, আমিষ, সবজি এবং তেল-চর্বির দিকে নজর রাখতে হবে।
শর্করা জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এটি রক্তের মধ্যে থাকা গ্লুকোজ এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়। তাই খাবারে শর্করা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কিছু কিছু শর্করা জাতীয় খাবার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা তাড়াতাড়ি বাড়িয়ে দেউ যেমন, চিনি, মিষ্টি, বেশি ছাঁটা চালের ভাত, ময়দার রুটি এইগুলো কম খেতে হবে।
লাল চালের ভাত , গমের আটার রুটি , সবজি, বাদাম , বুট ও কলাই জাতীয় খাদ্য রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দেয় তাই এই খাবার গুলি বেশি করে খেতে হবে। তবে ক্যালরির দিকে নজর রাখতে হবে অবশ্যই। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মোট ক্যালরির 20% আসবে আমিষ থেকে, 30% আসবে ফ্যাট থেকে এবং 50% শর্করা থেকে।
একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য ১৬০০ কিলো-ক্যালরির চাহিদার একটি ডায়েট চার্ট বা খাবারের তালিকা দেয়া হল। আসুন জেনেনি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ডায়েট চার্ট ও খাদ্য তালিকা।
ডায়াবেটিস এর লক্ষণ
ডায়াবেটিস হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ডায়াবেটিস এর লক্ষন সমূহের মধ্যে এটি অন্যতম। তবে ডায়াবেটিস এর তেমন কোন লক্ষন দেখা যায় না। কিন্তু শরীরের কিছু পরিবির্তন দেখা দিবে যেটা দেখে ধারণা করা যাবে ডায়েবেটিস এর। তাহ্লে চলুন দেখে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস এর লক্ষন সমূহ কি কি।
- ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া এবং পিপাসা বেড়ে যাওয়া।
- শরীরে দূর্বল ভাব লাগা এবং ঘোর ঘোর ভাব আসা।
- ক্ষুধার পরিমান বেড়ে যাওয়া।
- সময় মতো খাবার খেতে না পারলে আমাদের শরীরের রক্তের শর্করা কমে যাওয়া।
- মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া।
- হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে যাওয়া।
- শরীরের কোন অংশে কেটে বা ক্ষত হলে সেটা শুকাতে সময় লাগা।
- চামড়াযর মধ্যে শুষ্ক, খসখসে এবং চুলকানি ভাব হওয়া।
- কোন কিছুতে বিরক্তি ভাব আসা ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
- চোখে কম দেখা এবং চোখের সমস্যা দেখা দেওয়া।
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
ডায়েবিটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিচের নিয়ম গুলো মেনে চলুন। তাহলে খুব সহজে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা এবং মানসিক চাপ কমানোর কৌশল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য আমাদেরকে নিয়মিত সুষম খাবার খেতে হবে। যে খাবার গুলো আমাদের পাকস্থলীতে প্রক্রিয়া হতে সময় লাগে সেসব খাবার গুলো আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। ডায়াবেটিস হলে অবশ্যই আমাদের আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবির্তন করতে হবে। কম পরিশোধিত শর্করা জাতীয় খাবার এবং কার্বোহাইড্রেট খাবার গ্রহন করতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করা ও হাটা:- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম ও নিয়ম করে হাটতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে আমাদেরকে ২ ঘন্টা হাটতে হবে এবং এর সাথে আমাদের শরীর চর্চা ও ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত হাটা ও ব্যায়াম করলে আমাদের ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ থাকে। রক্তে শর্করা মাত্রা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। হাটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ব্যায়াম হিসেবে করত্র পারবেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা:- অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস এর লক্ষন সমূহের মধ্যে অন্যতম। যাদের শরীরের মেদ বেশি এবং ওজন বেশি তাদের রক্তে শর্করার পরিমান বেড়ে যায়। মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং ফাস্টফুড খাবার খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। শরীরের ওজন কমানোর জন্য আমাদের নিয়মিত শরীরচর্চা ও সুষম খাবার গ্রহন করতে হবে।
কার্বোহাইড্রেট গ্রহনে সতর্কতা:- আমাদের খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কার্বোহাইড্রেট খাবার গুলো আমাদের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমাদের কার্বোহাইড্রেট খাবার বাদ দিতে হবে।
চাপ নিয়ন্ত্রণ:- মানসিক চাপ আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করে থাকে। আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে যা হরমোনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। যা আমাদের রক্তের গ্লুকোজ এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, এক্সা একজন ডায়াবেটিস রোগির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করা:- একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক ডায়াবেটিস রোগীর দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিৎ। যদি গরমের মাত্রা বেড়ে যায় তাহপে আরো বেশি পরিমানে পানি পান করা দরকার। কারণ পানি শূন্যতা আমাদের কিডনি ড্যামেজ করে দেয়। আমাদের শরীরের আর্দ্রতা ঠিক রাখার জন্য আমাদের বেশি পরিমানে পানি পান করতে হবে। পানি পান করলে আমাদের কিডনি বা বৃক্ষ ভালো এবং সুস্থ থাকে।
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ
বর্তমান সময়ে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা রয়েছে। ডায়াবেটিস হলে কিছুদিন পর প আমাদের ডায়াবেটিস কত আছে তা চেক করতে হয়। আমাদের হাত থেকে রক্ত নিয়ে তা মেশিনের মাধ্যমে চেক করা হয়ে থাকে। যেখানে পয়েন্ট এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস এর পরিমান জানা যায়। কত পয়েন্ট হলে আমরা বুঝতে পারবো যে আমাদের ডায়াবেটিস হয়েছেম ডায়াবেটিস এর পয়েন্ট দেখার জন্য আপনি প্রথমে কিছু খেয়ে নিবেন এর ২ ঘন্টা পর আপনাকে ডায়াবেটিস এর পরিমান নির্ণয় করতে হবে।
আপনার ভরা পেটে অর্থাৎ খাওয়ার ২ ঘন্টা পর যদি ডায়াবেটিস এর পয়েন্ট ১১.১ হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। এখন মূল কথা হলো ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছে কত হলে বুঝতে পারবেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। আপনার যদি ২০-২৫ পয়েন্ট এর উপরে চলে যায় ভরা পেটে অর্থাৎ খাওয়ার ৩ ঘন্টা পর তাহলে আপনার জীবনের বেশ ঝুকি রয়েছে। তাহলে ভরা পেটে ডায়াবেটিস মাপার পর যদি দেখতে পান আপনার ডায়াবেটিস ২৫ এর উপরর তাহলে তাড়াতাড়ি নিকটস্থ ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান।
ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
আমরা আগেই জেনেছি যে ডায়াবেটিস হয়েছে সেটা কিভাবে বুঝা যায়। এবং ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে। একজন সুস্থ মানুষ যদি গ্লুকো মিটারে ডায়াবেটিস মেপে থাকে তাহলে খালি পেটে মাপার পর যদি আপনার ডায়াবেটিস এর পয়েন্ট ৪-৬ পয়েন্ট (mmol/l) থাকে এবং ভরা পেটে অর্থাৎ খাওয়ার ২ ঘন্টা মধ্যে মাপার পর যদি দেখেন আপনার পয়েন্ট ৮ পয়েন্টের নিচে তাহলে বুঝে নিবে আপনাএ ডায়াবেটিস নরমাল পর্যায়ে আছে। আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন ভরা পেটে এবং খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল।
ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়
সবার মনে একটা প্রশ্ন আসে সেটা হচ্ছে ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়। একজন ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিস এর পরিমাণ সাধারণত 400 mg/dl বেশী বা 40 mg/dl এর কম হলে স্ট্রোক হতে পারে।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে সঠিক পরিচিতি এবং যত্নশীলতা হওয়া, নিয়মিত ডায়াবেটিস চেক করা, পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করা। তাছাড়াও, সঠিক ভাবে চলাফেরা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে পারলে ডায়াবেটিস দ্রুত সেরে যায় বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়াবেটিস জানার পরেও যদি কোন ধরনের চিকিৎসা না করে থাকেন বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে না পারেন তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়। আমরা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীদের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা গুলো হলো মাখন, ঘি, মিষ্টি, সব ধরনের মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন, চিনি, মধু, গুড়, লজেন্স, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, ফলের রস, নরম পানীয়, অ্যালকোহল, স্বাস্থ্যকর পানীয়, তেলেভাজা, শিঙাড়া, কচুরি, চপ, কাটলেট এই ধরনের খাবার গুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। এই ধরনের খাবাএ গুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এই খাবার গুলো ডায়াবেটিস বাড়তে সাহায্য করে থাকে তাই এই খাবার গুলো থেকে দূরে থাকুন।
ডায়াবেটিস কেন হয়
ডায়াবেটিস কেনো হয় এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। এখন আমাদের পোস্টের এই অংশে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ডায়াবেটিস কেনো হয়। ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ। যা মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। ডায়াবেটিস এর পরিমান বেড়ে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ডায়াবেটিস মূলত হয়ে থাকে মানুষের অসচেতন চলাফেরা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহনের ফলে। ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। এইখাবার গুলো খেলে আমাদের ডায়াবেটিস হতে পারে। মিষ্টিজাতীয় খাবার, ফাস্টফুড এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার ডায়াবেটিস হওয়ার মূল কারণ। আমাদের অস্বাস্থ্যকর চলাফেরার কারণেও ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। যেমন, শারীরিক ব্যায়াম না করা, হাটাহাটি না করা, সারাদিন বসে-শুয়ে সময় কাঠানো ইত্যাদি কারণ।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
সকালের নাস্তা (সকাল ৭.৩০ - ৮ টার মধ্যে) | ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
- রুটি: ১ টা গমের আটার রুটি (মিডিয়াম)
- দুধ: ১ গ্লাস ফ্যাট ছাড়া দুধ বা স্কিম মিল্ক
- ডিম: ১ টা মুরগী অথবা হাঁসের ডিম (সিদ্ধ অথবা ভাঁজি)
- শাক সবজি: ১ কাপ পাতা যুক্ত শাক বা ১/২ কাপ সবজি
দুপুরের খাবার (দুপুর ১.৩০ - ২ টার মধ্যে) | ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
- ভাত: দেড় কাপ ভাত
- মাছ অথবা মাংস: ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ বা মাংস (চর্বি ছাড়া)
- শাক সবজি: পাতা যুক্ত সবুজ শাক-সবজি
- ডাল: ১ কাপ মাঝারি ঘন ডাল
বিকেলের নাস্তা ( বিকেল ৫.৩০ - ৬ টার মধ্যে) | ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
- সিজনাল ফল: যেকোন একটি সিজনাল ফল
- বাদাম, বুট এবং কলাই জাতীয় খাদ্য, ১/৪ কাপ বাদাম বা বুট বা কলাই জাতীয় খাদ্য
রাতের খাবার (রাত ৯ টা - ৯.৩০ টার মধ্যে) | ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
- রুটি অথবা ভাত: ১/২ কাপ ভাত অথবা মাঝারি সাইজের ৩ টা আটার রুটি
- মাছ অথবা মাংস: ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ বা মাংস (চর্বি ছাড়া)
- শাক সবজি: পাতা যুক্ত সবুজ শাক-সবজি পরিমাণমাপিক
- সিজনাল ফল: পছন্দ মত যেকোন একটি সিজনাল ফল
আমাদের শেষ কথা
আমাদের আজকের এই আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। এর বাহিরে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। ডাক্তারের দেওয়া খাদ্য তালিকা অনুসরণ করবেন। কোন কিছু না বুঝলে আমাদেরে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করেছি ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়, ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ, ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল, ডায়াবেটিস কেন হয় এই সম্পর্কে। ডায়াবেটিস নিয়ে আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিবেন।
রায়হান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url