সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ - সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১ম অধ্যায় সমাধান
দাঁতের মাড়ি শক্ত ও মজবুত করার উপায়
সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১ম অধ্যায় সমাধান - আমরা যারা একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করতেছি এবং যারা আর্টস বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি তাদের সমাজবিজ্ঞান ১ম ও ২য় পত্র বইটি রয়েছে। সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র বইয়ের প্রথম অধ্যায় সমাজ বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ নিয়ে আলোচনা করা হবে। সমাজ বিজ্ঞান প্রথম পত্র বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের নাম হলো সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ। এখানে অনেক ধরনের প্রশ্ন হয়েছে যা তোমাদের কাজে লাগতে পারে।
ভূমিকা - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
যারা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করতেছো এবং সামনে পরীক্ষা দিবা তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট অনেক উপকারী হবে। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সমাজবিজ্ঞান প্রথম পত্র বইয়ের প্রথম অধ্যায় সমাজ বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ থেকে বেশ করেছি জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেছি। জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলোর সাথে সুন্দরভাবে উত্তর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বোঝার সুবিধার্থে আমাদের এই প্রশ্নের উত্তর গুলো সহজ করে দেয়া হয়েছে।
আমাদের দেওয়া জ্ঞান মূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলো খাতায় তুলে নিবে অথবা আমাদের সাইট থেকেও তোমরা খুব সহজে প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে পারবে। তাহলে আজকের এই পোস্ট সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ অধ্যায় জ্ঞান মূলক ও অনুধাবনমূলক কয়েকটি প্রশ্ন সমাধান করা হলো।
সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১ম অধ্যায় সমাধান
নিচে সমাজবিজ্ঞান প্রথম পত্রের প্রথম অধ্যায় সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ থেকে বেশ কয়েকটি জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উল্লেখ করা হলো।
প্রশ্ন:- ১ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. "সমাজবিজ্ঞান একমাত্র বিজ্ঞান যা সমাজ এবং সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যয়ন করে।"- উক্ত সংজ্ঞাটি কোন সমাজবিজ্ঞানীর?
উত্তর:- "সমাজবিজ্ঞান একমাত্র বিজ্ঞান যা সমাজ এবং সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যয়ন করে।"- সংজ্ঞাটি সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার ও পেজের
খ. সমাজবিজ্ঞান একটি বিশ্লেষণধর্মী বিজ্ঞান- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞানে গোটা সমাজের নিখুঁত বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা থাকে বলে সমাজবিজ্ঞানকে বিশ্লেষণধর্মী বিজ্ঞান বলা হয়। আমরা জানি, সমাজবিজ্ঞান কেবল সমাজের প্রপণ্য বা ঘটনাবলির আলোচনাই করে না, বরং ঐ প্রপঞ্জ বা ঘটনাসমূহের মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের প্রচেষ্টাও চালায়। এক্ষেত্রে যুক্তিবাদী বিচার-বিশ্লেষণের সহায়তা নেয়া হয়। তাই সমাজবিজ্ঞানকে একটি বিশ্লেষণধর্মী বিজ্ঞান বলা হয়।
প্রশ্ন:- ২ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. The Communist Manifesto গ্রন্থটির লেখক কে?
উত্তর:- "The Communist Manifesto"- গ্রন্থটির লেখক জার্মান দার্শনিক ও সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কস।
খ. সামাজিকীকরণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবশিশু ক্রমশ সামাজিক মানুষে পরিণত হয়, তাকে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া বলে। সামাজিকীকরণ একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। শিশুর জন্মের পর হতে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন ও খাপ খাওয়ানোর প্রক্রিয়াই হলো সামাজিকীকরণ। সামাজিকীকরণ ব্যক্তিকে তার সামাজিক জগতে অনুপ্রবেশ করায়, তাকে সমাজের নানা ধরনের কাজকর্মে অংশগ্রহণকারী সদস্য হিসেবে গড়ে তোলে এবং সমাজের আদর্শ ও মূল্যবোধ গ্রহণে তাকে উদ্বুদ্ধ করে।
আরো পড়ুনঃ কোন সূরা পড়লে টেনশন দূর হয়
প্রশ্ন:- ৩ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. সামাজিক মনোবিজ্ঞানীরা কী নিয়ে আলোচনা করে?
উত্তর:- সামাজিক মনোবিজ্ঞানীরা সমাজে বসবাসকারী মানুষের মন নিয়ে আলোচনা করে।
খ . সমাজবিজ্ঞানের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞানের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো- সমাজবিজ্ঞান হচ্ছে সমাজ সম্পর্কে জ্ঞান বা সমাজের আলোচনা। সমাজবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ Sociology শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Socius এবং গ্রিক শব্দ Logos থেকে উদ্ধৃত হয়েছে। Socius অর্থ সমাজ এবং Logos অর্থ জ্ঞান। ল্যাটিন শব্দ Socius শব্দের আক্ষরিক অর্থ সঙ্গী। তবে যেহেতু সঙ্গবদ্ধ জীবনের ভিত্তিতে সমাজ গড়ে ওঠে তাই Socius এর ভাবার্থ হলো সমাজ। Sociology শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ব্যাখ্যা করে 'সমাজ বিজ্ঞানকে সমাজ সম্পর্কিত জ্ঞান বলে আখ্যায়িত করা যায়।
প্রশ্ন:- ৪ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. নৃবিজ্ঞানী লুইস মর্গানের ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম কী?
উত্তর:- মার্কিন নৃবিজ্ঞানী লুইস হেনরি মগানের ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম- "Ancient Society"
খ. সমাজবিজ্ঞানকে মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান বলে কেন?
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞান ন্যায়-অন্যায় বোধ নিরপেক্ষ অর্থাৎ বস্তুনিষ্ঠ ও যুক্তিপ্রবণ বিজ্ঞান বলে সমাজবিজ্ঞানকে মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান বলা হয়। বিজ্ঞানের প্রধান ধর্মই হচ্ছে নৈতিকতার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকা। আর তাই সমাজবিজ্ঞানও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে। সমাজবিজ্ঞানীগণ সামাজিক বা ব্যক্তিগত মূল্যবোধের দ্বারা কোনোভাবে প্রভাবিত না হয়ে যাবতীয় সামাজিক ঘটনা বিচার-বিশ্লেষণ করেন। এ কারণে সমাজবিজ্ঞানকে মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
প্রশ্ন:- ৫ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় করতে কোন বিষয়ের উদ্ভব ঘটেছে?
উত্তর:- বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় করতে সামাজিক মনোবিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটেছে।
খ. সমাজবিজ্ঞানকে কেন সমাজের পূর্ণাঙ্গ পাঠ বলা হয়?
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞানকে সমাজের পূর্ণাঙ্গ পাঠ বলা হয় কারণ সামাজিক মানুষের আচার-আচরণ, আদর্শ-মূল্যবোধ, কার্যাবলি, রীতিনীতি কীভাবে পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এবং কীভাবে এর গতিশীলতা বজায় থাকে তা নিয়ে অধ্যয়ন করতে গিয়ে গোটা সমাজের মধ্যে এর অনুসন্ধান করতে হয়। এছাড়াও সমাজবিজ্ঞান সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষের পারস্পারিক নির্ভরশীলতা, পারস্পরিক সম্পর্ক, সাধারণ জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, মানুষের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, সহযোগিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে।
প্রশ্ন:- ৬ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় করতে কোন বিষয়ের উদ্ভব ঘটেছে?
উত্তর:- বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় করতে সামাজিক মনোবিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটেছে।
খ. সমাজবিজ্ঞানকে কেন সমাজের পূর্ণাজা পাঠ বলা হয়?
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞান সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, পারস্পরিক সম্পর্ক, সাধারণ জীবনযাত্রা প্রণালি বা সংস্কৃতি, মানুষের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, সহযোগিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে। পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান- প্রতিষ্ঠান, সমাজের পরিবর্তনশীলতা, সমাজের বিভিন্ন উপাদান প্রভৃতি সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করে থাকে। সমাজবিজ্ঞান যে শুধু সহজ সরল সমাজ নিয়ে আলোচনা করে এমন নয়, বর্তমান জটিল থেকে জটিলতায় রূপধারণকারী সমাজেরও খুঁটিনাটি আলোচনা করে। এ সব প্রেক্ষিতেই সমাজবিজ্ঞানকে সমাজের পূর্ণাঙ্গ পাঠ বলে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন:- ৭ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. নৃবিজ্ঞান কাকে বলে?
উত্তর:- মানুষের উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে নৃবিজ্ঞান বলে।
খ. পরিবারের সমাজবিজ্ঞান যা নিয়ে আলোচনা করে তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- পরিবারের সমাজবিজ্ঞান পরিবারের উৎপত্তি, বিকাশ, প্রকরণ, পরিবর্তনশীল পরিবারের কার্যাবলি এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। পরিবারের সমাজবিজ্ঞান সমাজ ও যুগভেদে পরিবারের কাঠামো ও প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করে। এটি পরিবর্তনশীল সমাজের প্রেক্ষাপটে পরিবারের ভূমিকা ও কার্যাবলি সম্পর্কে গবেষণা চালায়। এর পাশাপাশি এটা বিবাহ, বিবাহের ধরন, প্রকৃতি, বিবাহের রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান এবং মানবসমাজে বিবাহের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে। পরিবারের সমাজবিজ্ঞান জ্ঞাতি সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করে।
প্রশ্ন:- ৮ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. কোন কোন শব্দের সমন্বয়ে 'Sociology' শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে?
উত্তর:- ল্যাটিন শব্দ 'Socius' এবং গ্রিক শব্দ 'Logos'-এর সমন্বয়ে ইংরেজি 'Sociology' শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।
খ. সমাজবিজ্ঞানকে 'মানব সম্পর্কের বিজ্ঞান' বলা হয় কেন?
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞান যেহেতু মানব আচরণ ও সমাজ সম্পর্কে পঠন-পাঠন ও গবেষণা করে তাই একে 'মানব সম্পর্কের বিজ্ঞান' বলা হয়। বস্তুত সমাজবিজ্ঞান হলো সমাজ সম্পর্কিত বস্তুনিষ্ঠ পাঠ বা বিশ্লেষণ। বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য থাকলেও তাদের প্রদত্ত সমাজবিজ্ঞানের সংজ্ঞার মধ্যে একটি বিষয়ে মিল লক্ষ করা যায়। আর তা হচ্ছে, সমাজবিজ্ঞানের প্রায় সকল সংজ্ঞাতেই সমাজবন্ধ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ- সমাজবিজ্ঞান মূলত সমাজে বসবাসকারী মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা করে থাকে। আর এ জন্যই সমাজবিজ্ঞানকে 'মানব সম্পর্কের বিজ্ঞান' বলা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন:- ৯ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. সমাজবিজ্ঞানকে সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক গতিশীলতার বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন কে?
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞানকে সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক গতিশীলতার বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন অগাস্ট কোঁৎ।
খ. সমাজবিজ্ঞানকে কেন ঐতিহ্যগতভাবে মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান বলা হয়?
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞান ন্যায়-অন্যায় বোধ নিরপেক্ষ অর্থাৎ বস্তুনিষ্ঠ ও যুক্তিপ্রবণ বিজ্ঞান বলে সমাজবিজ্ঞানকে মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান বলা হয়। বিজ্ঞানের প্রধান ধর্মই হচ্ছে নৈতিকতার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকা। আর তাই সমাজবিজ্ঞানও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে। সমাজবিজ্ঞানীগণ সামাজিক বা ব্যক্তিগত মূল্যবোধের দ্বারা কোনোভাবেই প্রভাবিত না হয়ে যাবতীয় সামাজিক ঘটনা বিচার-বিশ্লেষণ করেন। এ কারণেই সমাজবিজ্ঞানকে মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
প্রশ্ন:- ১০ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. ম্যাকাইভারের মতে, মানসিক ঘটনা কী?
উত্তর:- ম্যাকাইভারের মতে, সমাজজীবনের যা কিছু একজন জীবিত মানুষ করে বা ভোগ করে, যা কিছু ইতিহাস ও অভিজ্ঞতায় পাওয়া যায় তার সবই হলো মানসিক ঘটনা।
খ. সমাজবিজ্ঞান বিকাশে জিয়ামবাতিস্তা ভিকোর অবদান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- ইতালিতে সমাজবিজ্ঞান বিকাশে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন জিয়ামবাতিস্তা ভিকো তার অন্যতম। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত নববিজ্ঞানে জাতিসমূহের সাধারণ প্রকৃতি নিয়ে যে আলোচনা করেন তা সমাজবিজ্ঞান বিকাশে অসামান্য অবদান রাখে। তিনি বিশ্বাস করতেন সমাজ কতকগুলো সুনির্দিষ্ট নিয়মের অধীন এবং বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ ও পাঠের মাধ্যমে সমাজ বিকাশের সূত্রাবলিকে আবিষ্কার করা যায়। তার উক্ত দৃষ্টিভঙ্গি সমাজবিজ্ঞানের বিকাশ সাধনে অনবদ্য অবদান রাখে।
প্রশ্ন:- ১১ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. "সমাজবিজ্ঞান একমাত্র বিজ্ঞান যা সমাজ এবং সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যয়ন করে।"- উত্ত সংজ্ঞাটি কোন সমাজবিজ্ঞানীর?
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞান একমাত্র বিজ্ঞান যা সমাজ এবং সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যয়ন করে।"- সংজ্ঞাটি সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার ও পেজের।
খ. সমাজবিজ্ঞান একটি বিশ্লেষণধর্মী বিজ্ঞান- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞানে গোটা সমাজের নিখুঁত বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা থাকে বলে সমাজবিজ্ঞানকে বিশ্লেষণধর্মী বিজ্ঞান বলা হয়। আমরা জানি, সমাজবিজ্ঞান কেবল সমাজের প্রপঞ্চ বা ঘটনাবলির আলোচনাই করে না, বরং ঐ প্রপঞ্চ বা ঘটনাসমূহের মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের প্রচেস্টাও চালায়। এক্ষেত্রে যুক্তিবাদী বিচার-বিশ্লেষণের সহায়তা নেয়া হয়। তাই সমাজবিজ্ঞানকে একটি বিশ্লেষণধর্মী বিজ্ঞান বলা হয়।
প্রশ্ন:-১২ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় করতে কোন বিষয়ের উদ্ভব ঘটেছে?
উত্তর:- বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় করতে সামাজিক মনোবিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটেছে।
খ. সমাজবিজ্ঞানকে কেন সমাজের পূর্ণাঙ্গ পাঠ বলা হয়?
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞানকে সমাজের পূর্ণাঙ্গ পাঠ বলা হয় কারণ সামাজিক মানুষের আচার-আচরণ, আদর্শ-মূল্যবোধ, কার্যাবলি, রীতিনীতি কীভাবে পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এবং কীভাবে এর গতিশীলতা বজায় থাকে তা নিয়ে অধ্যয়ন করতে গিয়ে গোটা সমাজের মধ্যে এর অনুসন্ধান করতে হয়। এছাড়াও সমাজবিজ্ঞান সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষের পারস্পারিক নির্ভরশীলতা, পারস্পরিক সম্পর্ক, সাধারণ জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, মানুষের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, সহযোগিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে।
প্রশ্ন:- ১৩ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. উৎপাদন, বণ্টন, ভোগ, সঞ্চয় কোন শাস্ত্রের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়?
উত্তর:- উৎপাদন, বণ্টন, ভোগ, সঞ্চয় ইত্যাদি অর্থনীতি শাস্ত্রের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
খ. সমাজতাত্ত্বিক মতবাদ গোষ্ঠী সম্পর্কে লেখো।
উত্তর:- সমাজতাত্ত্বিক মতবাদ গোষ্ঠী সমাজ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সামাজিক পরিবেশ এবং সামাজিক শক্তিসমূষের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। এই গোষ্ঠীর দৃষ্টিতে ব্যক্তির আচরণ তার সামাজিক প্রভাবের ফল। সমাজতাত্ত্বিক মতবাদ গোষ্ঠীটি অবশ্য অন্যান্য মতবাদ গোষ্ঠীর প্রয়োজনীয়তা পুরোপুরি অস্বীকার করে না।
প্রশ্ন:- ১৪ - সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
ক. নৃবিজ্ঞান কাকে বলে?
উত্তর:- মানুষের উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে নৃবিজ্ঞান বলে।
খ. পরিবারের সমাজবিজ্ঞান যা নিয়ে আলোচনা করে তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- পরিবারের সমাজবিজ্ঞান পরিবারের উৎপত্তি, বিকাশ, প্রকরণ, পরিবর্তনশীল পরিবারের কার্যাবলি এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। পরিবারের সমাজবিজ্ঞান সমাজ ও যুগভেদে পরিবারের কাঠামো ও প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করে। এটি পরিবর্তনশীল সমাজের প্রেক্ষাপটে পরিবারের ভূমিকা ও কার্যাবলি সম্পর্কে গবেষণা চালায়। এর পাশাপাশি এটা বিবাহ, বিবাহের ধরন, প্রকৃতি, বিবাহের রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান এবং মানবসমাজে বিবাহের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে। পরিবারের সমাজবিজ্ঞান জ্ঞাতি সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করে।
রায়হান আইটির শেষ কথা
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করি তোমরা তোমাদের সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ অধ্যায়ের প্রশ্নগুলোর সমাধান পেয়েছ। আমরা চেষ্টা করেছি সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র এই বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের সব প্রশ্ন দেওয়ার জন্য। তোমাদের পরীক্ষার মধ্যে আশা করি প্রশ্নগুলো কমন পড়বে। আমাদের দেওয়া প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালোভাবে পড়লে খুব সহজেই মুখস্থ করতে পারবে। একটু ভালোভাবে বুঝে পড়তে পারলে প্রশ্নগুলো তোমার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আমরা সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্রের বাকি অধ্যায় গুলোর প্রশ্নপত্র ও উত্তরমালা নিয়ে আসব।
রায়হান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url