শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় - শুকনো কাশি হওয়ার কারণ
শিশুর বুকে কফ জমলে কি করা উচিত
শুকনো কাশি কেন হয় - আবহাওয়ার বিরুপ আচরণের কারণে দিন দিন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে। আমরা আক্রান্ত হচ্ছি জ্বর, কাঁশি, পানিবাহিত বা বায়ুবাহিত নানান রোগে। তারমধ্যে একটি হলো শুকনো কাঁশি, এই কাঁশির বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার হচ্ছে জ্বর, কফ ইত্যাদি না থাকা স্বত্তেও এই রোগ দেখা দেয়। এই রোগ কে বলা হয়ে থাকে ড্রাই কফ বা শুকনো কাঁশি।
এই শুকনো কাশির সাথে কফ বের হয় না, এই কফ গুলো গলায় এবং বুকে লেগে থাকে যা একেবারেই অস্বস্তিকর লাগে। এই ড্রাই কফ রোগটি এক্স-রে বা স্টেথিসকোপ করেও কিছু পাওয়া যায় না। এই কাঁশির কারণে ফুসফুসে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা ইত্যাদি নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এই কাঁশির সঠিক কারণ এবং এর সমাধান জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
কীভাবে বুঝা যাবে আপনার শুকনো কাঁশি
কাশিটা কি নতুন বা এই প্রথম হচ্ছে, নাকি এর আগেও প্রায়ই হয়েছে আপনার মৌসুমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কি না। এমন যদি হয় যে শীতে, ঠাণ্ডায়, গরমে, বর্ষায় বা ধুলাবালিতে এর প্রকোপ বেড়ে যায়, তবে ধরে নিতে পারেন যে এটি অ্যালার্জিজনিত।
আপনার বাড়িতে বা কাজের পরিবেশে এমন কিছু আছে কি না, যা অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ায়। যেমন হয়তো ধুলোমাখা কার্পেট, আলো-বাতাসহীন ভ্যাপসা ঘর, এমনকি পোষা প্রাণী, পাখি বা ফুলগাছের রেণু। হয়তো ঘরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রই আপনার সহ্য হয় না অথবা সইতে পারেন না বেশি গরম ও ঘাম।
শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায়ও অনেকের কাশি বাড়ে। এসবের যেকোনো কিছুই আপনার কাশির জন্য দায়ী হতে পারে। পরিবারে বা বংশে হাঁপানি বা অ্যালার্জির ইতিহাস এ ধারণাকে পরিপূর্ণ পূর্ণতা দিতে পারে। এক ধরনের হাঁপানিই আছে, যেখানে শ্বাসকষ্ট না হয়ে স্রেফ খক খক কাশি দেখা যায়; একে বলে কফ ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা। ধুলাবালি বা ঠান্ডা এড়িয়ে চলা, অ্যালার্জির ওষুধ বা ইনহেলার এই হলো এর চিকিৎসা।
তবে যারা ধূমপান করে থাকে, তাদের স্মোকার কফ হতে পারে। তামাক শ্বাসঝিল্লিকে ক্রমেই ব্যাহত করছে বলেই কাশি ওঠে। লক্ষ করলে দেখতে পারবেন, স্বাভাবিক সময়ের কাশির চেয়ে এই নতুন কাশি একটু অন্য ধরনের কি না। কিংবা হঠাৎ তীব্রতায় বা ধরনে পাল্টে গেছে কি না। কারণ, ধূমপায়ীদের কফ হঠাৎ আচরণ পরিবর্তন করলে একটু সতর্ক হওয়া চাই বটে; ফুসফুসের ক্যানসার ধূমপায়ীদেরই বেশি হয়। যারা ধূমপান করেন, তাদের বছরে কয়েকবার কাশি-শ্বাসকষ্ট-জ্বর মিলিয়ে অসুস্থতা হতে পারে। হয়তো তারা ক্রনিক ব্রংকাইটিসে ভুগছেন।
বিষয়টি নজরে আনুন ও যথাসময়ে যথাযথ চিকিৎসা শুরু করুন। কেননা, এটি ধীরে ধীরে জটিলতর রূপ নিতে পারে। এক মাসের বেশি কাশি, সঙ্গে ঘুসঘুসে জ্বর, ওজন হ্রাস, অরুচি, কাশির সঙ্গে রক্ত ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যক্ষ্মা বা ক্যানসারের আশঙ্কা এ ক্ষেত্রে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই যেকোনো ধরনের আশঙ্কা এবং লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো ধরনের অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অতীব জরুরি। সঠিক চিকিৎসা ও দিকনির্দেশনা ভবিষ্যতের জন্য বড় ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
শুকনো কাশির ঘরোয়া প্রতিকার
শুকনো কাশির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। শুকনো কাশি হলে শুরুতে ডাক্তারের নিকট না যেয়ে ঘরোয়া উপায়ে ঠিক করার চেষ্টা করুন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক শুকনো কাশির ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে।
মধু
শুকনো কাঁশি দূর করার জন্য মধু অনেক উপকারী অষুধ হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন ১ চামচ করে মধু খেতে পারেন এতে আপনি শুকনো কাঁশি থেকে মুক্তি পাবেন। বিশুদ্ধ মধুতে রয়েছে শক্তিশালী এনজাইম যা কাঁশি উপশমে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
গরম পানি
শুকনো কাঁশি দূর করার আরো একটি মাধ্যম হলো গরম পানি। শুকনো কাঁশি হলে ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চা-চামচ লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন। নিয়মিত খেলে শুঁকনো কাঁশি দ্রুত সেরে যাবে।
কালো মরিচ
কালো মরিচ হলো কাঁশির অন্যতম ঘরোয়া প্রতিকার। মরিচ তার ঔষধি বৈশিষ্ট্যের জন্য বেশ পরিচিত। কালো মরিচ গুড়ো করে ঘিতে ভেজে ফেলুন। এটি নিয়মিত সেবন করলে শুকনো কাঁশি অনেক টা কমে যাবে।
মশলা চা
বেসিল, কালো মরিচ ও আদা চা শুকনো কাশি দূর করার অন্যতম প্রতিকার বলে মনে করা হয়। তাই একটি ভাল মশলা চা বানান এবং শুকনো কাঁশি থেকে মুক্তি পান।
বেসিল গুচ্ছ
বেসিলে পাতা গুলো গুঁড়ো করে নিন এবং এর রস গুলো বাহির করুন। এর সাথে আদা এবং মধু মিশিয়ে পান করুন, শুকনো কাঁশি দূর হয়ে যাবে।
হলুদ
হলুদের মধ্যে অনেক আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শুকনো কাঁশির চিকিৎসার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন, ১ কাপ পরিমাণ পানি ফুটিয়ে নিন, এরপর এর মধ্যে ১ চা-চামচ হলুদ এবং ১ চা চামচ কালো মরিচ মিশিয়ে নিন। চাইলে এর মধ্যে দারুচিনিও মেশাতে পারেন। ভালোভাবে ফুটিয়ে পান করুন, উপকার পাবেন।
লেবু
১ চা-চামচ মধুকে ২ চা-চামচ লেবুর রসে মিশিয়ে নিন এবং দিনে ৩ বার এটি পান করুন। এটি আপনার গলার ব্যাথা কমাবে এবং শুকনো কাঁশি থেকে মুক্তি দিবে।
পেঁয়াজ
এক চা-চামচ মধুতে এক চা-চামচ পেয়াজের রস মিশিয়ে নিন এবং দিনে দুবার করে পান করুন।
তুলসী
শুকনো কাশি থেকে মুক্তির সবথেকে সহজ উপায় হলো তুলসী পাতা। শুকনো কাশির জন্য তুলসীর পাতা অনেক উপকারী। তুলসীতে আছে ভিটামিন সি ও জিংকের মত উপাদানসমূহ যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ও শুকনো কাশির মত রোগ সারাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই শুকনো কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে তুলসির পাতা সেবন করতে পারেন।
আদা
শুকনো কাশি ভালো করার আরো একটি উপায় হচ্ছে আদা। শুকনো কাশির জন্য আদা ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। শুকনো কাশির জন্য আদা কে কয়েকভাবে খেতে পারবেন। যেমন চায়ের সাথে কয়েক টুকরো আদা মিশিয়ে চা খেতে পারেন অথবা আদাকে ছোট ছোট টুকরো করে লবণ মিশিয়ে খেতে পারবেন। এভাবে কয়েকদিন খাওয়ার পর ভালো ফলাফল দেখতে পারবেন।
রসুন
আমরা অনেকেই জানিনা যে রসুন শুকনো কাশির জন্য কার্যকরী ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। কাঁচা রসুনের গুনাগুন অনেক, বিভিন্ন ধরনের রোগ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে রসুন। রসূলে রয়েছে অয়ালিসিনা নামক উপাদান যা জীবাণু ধ্বংস করতে কার্যকরী। তবে এই অয়ালিসিনা উপাদানের জন্য রসুন থেকে বাজে গন্ধ বের হয়। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা, পরিমাণ মতো সেবন করবেন।
এলাচ
এলাচে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান যা জীবাণু দংশন করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এলাচ খুসখুসে কাশি, শুকনো কাশি ও গলা ব্যাথার মত সমস্যা দূর করে থাকে। এলাচ গুঁড়ো করে অথবা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
লবণ ও পানি দিয়ে গার্গল করা
হালকা কুসুম গরম পানি করে তার সাথে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। এতে করে আপনার গলার সংক্রমণ অনেকটা কমে যাবে এবং আপনি শুকনো কাশি অথবা গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
শুকনো কাশির জন্য কোন সিরাপ ভালো
আমাদের শুকনো কাশি হলে আমরা ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে তা সারাতে না পারলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকি। অথবা এলাকার কোন ফার্মেসীর দোকান থেকে শুকনো কাশির জন্য সিরাপ নিয়ে আসে। কিন্তু ভালো মানের সিরাপ না হওয়ার কারণে আমরা অনেক সময় কাশি থেকে মুক্তি পাই না। তাই এখন আমরা আলোচনা করব শুকনো কাশির জন্য কোন সিরাপ ভালো সেই সম্পর্ক।
এডোরিসাল সিরাপ:- ওষুধের কথা মাথায় আসলে আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে স্কয়ার কোম্পানির নাম। বাংলাদেশের সব থেকে ভালো ঔষধ কোম্পানি হল স্কয়ার কোম্পানি। আমরা সবাই চেষ্টা করি স্কয়ার কোম্পানির ওষুধ খাওয়ার জন্য। তাই আপনার যদি শুকনো কাশির মতো সমস্যা হয়ে থাকে হলে স্কয়ার কোম্পানির এডোরিসাল সিরাপ খেতে পারেন।
পিউরিয়াল:- শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আরো একটি ওষুধের নাম হল পিউরিয়াল। এই ওষুধটি খেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এই ওষুধ খাওয়া যাবেনা। ছোট থেকে বড় সবাই এই ওষুধ সেবন করতে পারবে। তবে গর্ভবতী মেয়েরা এই ওষুধ খেতে পারবে না।
অফকফ সিরাপ:- ঠান্ডা জনিত কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই অফকফ সিরাপ খেতে পারেন। এটি কাশি সারাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।
তুসকা প্লাস সিরাপ:- এই সিরাপটিও স্কয়ার কোম্পানি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি বুকে কফ জমাট বাধা, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা এই রোগ গুলো সারাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
টমিফেন সিরাপ:- যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে শুকনো কাশি বা বুকে কফ জমাট বেধে থাকে তারা এই ঔষুধ খেতে পারবেন। তবে এই ঔষুধটি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এই ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন, বমির ভাব, শরীর ঝিমঝিম করা, শরীর অস্থিরতা হওয়া ইত্যাদি।
শুকনো কাশি ও গলা ব্যাথা
শুকনো কাশি ও গলা ব্যাথা আমাদের মধ্যে কমবেশি সবাই ভুগতেছে। আবহাওয়া পরিবর্তন অথবা ঠান্ডা জনিত কোন সমস্যার কারণে শুকনো কাশি ও গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। ওষুধ খাওয়ার চাইতে ঘরোয়া উপায় বা প্রাকৃতিক উপায়ে শুকনো কাশি ও গলা ব্যথা খুব সহজে নির্মূল করা যায়। নিচে শুকনো কাশি ও গলা ব্যাথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
হলদি দুধ
হলুদ প্রাকৃতিক ব্যথা নির্মূল ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। শুকনো কাশি বা গলা ব্যাথার জন্য হলদি দুধ বা দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করলে গলা ব্যথা ও শুকনো ঘাসি নির্মূল হয়। প্রথমে এক গ্লাস পরিমাণ নিয়ে নিবেন এরপর দুধের মধ্যে হালকা পরিমাণে পরিমাণ মতো হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিবেন। এরপর হলুদ মিশ্রিত দুটি পান করে নিবেন।
লবণ পানি
শুকনো কাশি ও গলা ব্যথার জন্য লবণ পানি বেশ উপকারী ওষুধ হিসাবে কাজ করে। আপনারা যদি গলা ব্যথা শুকনো কাশি জনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে পানি হালকা কুসুম গরম করে তার মধ্যে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করে নিবেন।
আদা চা
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা দূছা পছন্দ করেন না তারা সব সময় রং চা বা অন্য অন্য চাপান করে থাকেন। আমাদের মধ্যে চাঁদের গলা ব্যথা ও শুকনো কাশি জনিত সমস্যা আছে তারা আদা দিয়ে তৈরি করা চা পান করতে পারেন। প্রথমে পরিমাণ মতো পানিতে চা পাতা দিয়ে এর মধ্যে একটি ছোট আদা কুচি কুচি করে মিশিয়ে দিতে পারেন এবং চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন।
রসুন, লেবু ও মধু
ঘরোয়া উপায় শুকনো কাশি বা গলা ব্যথা তৃণমূল করার জন্য আরো একটি উপায় আছে আর সেটি হচ্ছে রসুন লেবু ও মধু দিয়ে হালকা গরম কুসুম পানি পান করা। প্রথমে পরিমাণ মতো এক গ্লাস পানি হালকা গরম কুসুম করে নিবেন পরবর্তীতে এর মধ্যে অ্যাড করবেন রসুন, লেবু ও মধু। এরপর সেটি পান করুন গলা ব্যথা শুকনো কাশি কমে যাবে।
শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্ট
- আমাদের মধ্যে সবারই কম বেশি শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে চলুন।
- আমাদের অতিরিক্ত চাপ ও পরিশ্রমের কারণেও আমাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হতে পারে।
- গরমের মধ্যে আমরা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ও কোমল জাতীয় পানি খেয়ে থাকি। এর ফলেও আমাদের কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন অতিরিক্ত গরমে ঠান্ডা কোন জিনিস কম খাওয়ার জন্য।
- যারা ধুমপান করেন তাদের শুকনো কাশি বেশি হয়ে থাকে, তাই কাশি কমাতে ধুমপান থেকে বিরত থাকুন।
- এলার্জি জনিত সমস্যার কারণেও আমাদের কাশি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই আপনার যে খাবার গুলোতে এলার্জির সমস্যা আছে সে গুলো থেকে বিরত থাকুন।
- শুকনো কাশি ও গলা ব্যাথা হলে চা খেতে পারেন। চায়ের সাথে আদা, এলাচ, গোল মরিচ এক সাথে দিয়ে খেতে পারেন। এতে শুকনো কাশি দ্রুত কমে যায়।
আমাদের শেষ কথা
এই সমস্ত ঘরোয়া প্রতিকার কাশি জন্য একটি সর্ব রোগ নিবারক ঔষধ হিসাবে বিবেচিত হয়। আপনি যদি প্রতিদিন উপরে উল্লিখিত উপায়গুলো অনুসরণ করেন, তাহলে আপনি কাঁশির দ্বারা আর বিরক্ত হবেন না। এই অত্যধিক ঘরোয়া প্রতিকারের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে, যদি দীর্ঘ সময় ধরে কাশি চলতে থাকে তবে আপনার এটা নিয়ে ডাক্তারের কাছে দেখানো উচিত।
রায়হান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url