দরখাস্ত লেখার নিয়ম, নমুনা ও উদাহরন ২০২৪

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

দরখাস্ত আমাদের জীবনের একটি গুরুপ্তপূর্ণ অনুসঙ্গ। আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য দরখাস্তের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই দরখাস্ত লিখতে পারি না। যেহেতু এই দরখাস্ত আমাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে হয়, সে জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম বিস্তারিত ভাবে জেনে রাখা ভালো। 

জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনপত্র।     উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে আবেদনপত্র।      উপবৃত্তির জন্য আবেদনপত্র।     জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদনপত্র     পত্রিকায় চাকরির জন্য আবেদনপত্র।      পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আবেদনপত্র।      চাকরির জন্য আবেদনপত্র।      হঠাৎ ছুটির জন্য আবেদনপত্র।     অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদনপত্র।     ছাড়পত্রের জন্য আবেদনপত্র।     ছাত্রাবাসে আসন চেয়ে আবেদনপত্র।      বনভোজনে যাওয়ার জন্য আবেদনপত্র।     ক্যান্টিন বা কমনরম চালু কিংবা চালু থাকলে তার সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আবেদনপত্র।     মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদনপত্র।

দরখাস্ত এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Application, আবার দরখাস্তকে আমরা সাধারণত আবেদনপত্র হিসেবে চিনে থাকি। দরখাস্ত বা আবেদনপত্র কীভাবে লিখতে হয় সে বিষয়ে আমাদের জানার প্রয়োজন।  দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানবো আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন দরখাস্ত লেখার যাবতীয় নিয়ম সম্পর্কে। Dorkhasto lekhar niyom, Dorkhasto lekhar jabotiyo niyom, ki ki bishoye dorkhasto lekha jay. Dorkhasto lekhar niyom jante chai সম্পর্কে জানতে আমাদের আজকের আর্টিকেলে সম্পূর্ণ দেখুন।

দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লেখার আগে আমরা জেনে নিবো দরখাস্ত কি এই বিষয়ের উপর। dorkhasto ki, What is an application?

আরো পড়ুনঃ ধাপে ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্র যেভাবে সংশোধন করবেন

দরখাস্ত কি?

কিছু নিয়ম ও নীতি অনুসরণ করে অন্য কোন ব্যাক্তির কাছে বিশেষ বা নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে যে আবেদন করা হয় অথবা যে চিঠি পাঠানো হয় তাকে দরখাস্ত বলে। দরখাস্ত এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Application বা ফরমাল লেটার, আবার দরখাস্তকে আমরা সাধারণত আবেদনপত্র বা অফিসিয়াল চিঠি হিসেবেও চিনে থাকি।

কি কি বিষয়ে দরখাস্ত লেখা হয়

আমরা চাইলে দরখাস্ত লিখতে পারবো না। দরখাস্ত লেখার নির্দিষ্ট কোন কারন থাকা লাগবে। নির্দিষ্ট কোন কারণ ছাড়া আমরা  দরখাস্ত লিখতে পারবো না। সাধারণত আমাদের নিজেদের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কোন বিষয়ে জানানোর জন্য আমরা দরখাস্ত লিখে থাকি। আমরা এই পর্যায়ে জানবো আমরা কি কি বিষয়ের জন্য আর্টিকেল লিখতে পারি। দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, আমরা সে প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

  • জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনপত্র।
  • উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে আবেদনপত্র। 
  • উপবৃত্তির জন্য আবেদনপত্র
  • জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদনপত্র
  • পত্রিকায় চাকরির জন্য আবেদনপত্র। 
  • পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আবেদনপত্র। 
  • চাকরির জন্য আবেদনপত্র। 
  • হঠাৎ ছুটির জন্য আবেদনপত্র
  • অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদনপত্র
  • ছাড়পত্রের জন্য আবেদনপত্র
  • ছাত্রাবাসে আসন চেয়ে আবেদনপত্র। 
  • বনভোজনে যাওয়ার জন্য আবেদনপত্র
  • ক্যান্টিন বা কমনরম চালু কিংবা চালু থাকলে তার সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আবেদনপত্র
  • মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদনপত্র

এইগুলো ছাড়াও আমাদের আরো অনেক কাজে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আমাদের দৈনন্দিন কাজে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাহলে চলুন দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আমাদের আর্টিকেলের শুরুতে আমরা বলে দিয়েছিলাম দরখাস্ত কেনো লেখা হয়ে থাকে। দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন কারণ হয়ে থাকে, দরখাস্ত লেখার কয়েকটি কারণ আমরা আর্টিকেলের শুরুতে উল্ল্যেখ করেছিলাম। এখন আমরা জানবো দরখাস্ত লেখার মূল নিয়ম গুলো। এই নিয়ম গুলো ছাড়া আপনার দরখাস্ত সম্পূর্ণ হবে না। আপনি যেকোন দরখাস্তে এই নিয়ম গুলো দ্বারা দরখাস্ত লিখতে পারবেন।

  • দরখাস্ত লেখার নিয়ম: দরখাস্ত লেখার নিয়মের মধ্যে সব থেকে গুরুপ্তপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তারিখ। আপনি যে দিন দরখাস্ত লিখবেন সে দিনের তারিখ দরখাস্তের মধ্যে উল্ল্যেখ করতে হবে। যে পৃষ্টার মধ্যে দরখাস্ত লিখবেন সে পৃষ্টার শুরুতে বাম পাশে তারিখ লিখতে হবে। 
  • প্রাপকের পদবি ও ঠিকানা: দরখাস্ত লেখার এর পরের নিয়মটি হলো প্রাপকের পদবি ও ঠিকানা লেখা। প্রাপক মানে হচ্ছে আপনি যার উদ্দেশ্যে দরখাস্ত লিখবেন তিনি হচ্ছেন প্রাপক, অর্থাৎ আপনি কার কাছে লিখছেন দরখাস্তটি তার তথ্য।  প্রাপক যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান সেখানের ঠিকানা দিতে হবে।
  • দরখাস্তের বা আবেদনের বিষয়: এরপর লিখতে হবে দরখাস্তের বা আবেদনের বিষয়। অর্থ্যাৎ আপনি যে বিষয়ে দরখাস্ত বা আবেদন পত্র দিবেন সেটা উল্ল্যেখ করে দিবেন। এই লেখাটা সাধারণত ৪-৫ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। 
  • সম্ভাষণ: এরপর আপনাকে দিতে হবে সম্ভাষণ। লেখার সময় শুরুতে আমরা জনাব বলে সম্বোধন করবো। এখন ম্যাডাম, স্যার এই বিষয় গুলো তেমন একটা কেউ ব্যবহার করে না। তাই আমাদের কে শুরুতে জনাব লিখে দরখাস্তের মূল বিষয় লেখা শুরু করতে হবে।
  • আবেদনের মূল অংশ: এই অংশে আপনাকে লিখতে হবে আবেদনের মূল অংশ। এই অংশে আপনি যার কাছে আবেদনপত্র বা দরখাস্ত দিবেন তাকে সংক্ষিপ্ত অথচ গঠনমূলক ভাবে লিখবেন। যত কম শব্দের মধ্যে গুছিয়ে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন তত মানসম্মত হবে আপনার দরখাস্ত বা আবেদন পত্র। 
  • আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা: এটি হচ্ছে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লেখার শেষ নিয়ম। এই অংশে আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা উল্ল্যেখ করতে হবে। সাধারণত বিনীত বা নিবেদক অথবা বিনীত নিবেদক একসাথে লিখেও দিতে পারেন। এরপর নিচে আপনার নাম, আপনার পদবী, আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম অর্থ্যাৎ আপনার পরিচয় দিতে হবে। এর মাধ্যমে আপনার দরখাস্ত লেখা শেষ হয়ে যাবে। 

আপনি উপরে দেখানো নিয়ম গুলো মেনে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লিখে ফেলতে পারবেন কোন ধরনের ভূল ছাড়া। কারণ ভূল দরখাস্ত বা আবেদনপত্র কোন প্রাপক গ্রহন করবে না। আপনাকে অবশ্যই উপরের নিয়ম গুলো মেনে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লিখতে হবে।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম, নমুনা ও উদাহরন

তারিখ: 

বরাবর,

প্রাপকের পদবী (প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা/অধ্যক্ষ/এমডি)

প্রতিষ্ঠানের নাম

প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা (এইখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা লিখতে হবে, এইখানে সাধারণত জেলা বা শহরের নাম দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নাম হলে পূর্ণ ঠিকানা দেওয়ার চেষ্টা করবেন)

বিষয় (এইখানে আপনার দরখাস্তের বিষয় লিখতে হবে) 

সম্ভাষণ (জনাব বা জনাবা লিখবেন এইখানে)

মূল লেখা (এইখানে আপনার দরখাস্তের মূল বিষয় লিখতে হবে। সবিনয় নিবেদন এই যে…এভাবে শুরু করতে হবে)

বিনীত নিবেদক

প্রেরকের নাম ঠিকানা

চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আমরা এতোক্ষন যে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লেখার যে নিয়মটি দেখলাম সেটি হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক আবেদন পত্র লেখার নিয়ম। আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানবো চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে। 

আমরা সাধারণত খুজে থাকি chakrir dorkhasto lekhar niyom. Kivabe likhte hoy chakrir dorkhasto. এই বিষয় গুলো নিয়ে। ঘাবড়ানোর কিছুই নেই , এইটাও প্রাতিষ্ঠানিক দরখাস্তের মতো করে লিখতে হয়। 

তবে এইখানে একটি বিষয় হচ্ছে আপনাকে নমনীয় ভাবে দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখতে হবে। চাকরিটি যে আপনার খুবই প্রয়োজন সেটি দরখাস্তের মাধ্যমে বুঝাতে হবে। 

চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো আপনার হাতের লেখা অবশ্যই সুন্দর হতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক দরখাস্তের আমাদের সোর্সের কোন প্রয়োজন হয় না কিন্তু চাকরির দরখাস্তে আমাদের সোর্সের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যে সোর্সের মাধ্যমে আমরা চাকরির জন্য আবেদন করতেছি সেটি উল্ল্যেখ করতে হবে। 

চাকরির দরখাস্তের সাথে যে গুলো দিতে হবে সেগুলো হলো:- 

  • বায়োডাটা বা জীবনবৃত্তান্ত
  • পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেট
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি

তাছাড়া বাকি সব নিয়ম প্রাতিষ্ঠানিক দরখাস্তের মতোই। 

আমাদের শেষ কথা

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লেখার মেজর দুইটি নিয়ম সম্পর্কে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে। 

আপনার কি ধরনের দরখাস্তের প্রয়োজন হবে সেটা চিন্তা করুন এবং আমাদের দেওয়া নিয়ম গুলো মেনে দরখাস্ত লেখা শুরু করে দিন। দরখাস্তবা আবেদনপত্র লেখার কোন নিয়ম না বুঝলে আমাদের কমন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রায়হান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url