ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষন

গরুর ভুড়ি খাওয়ার অপকারিতা

ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ- অতিরিক্ত ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারণে আমাদের সর্দি হয়ে থাকে। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করবো ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষন? সর্দি লাগার কারণ ও প্রতিকার সম্পকে আজকে আলোচনা করবো।

আমাদের বছর জুড়েই জ্বর ও সর্দি লেগেই থাকে। ঠান্ডা লাগার ফলে আমাদের সর্দি এবং কাশি বেশি হয়ে থাকে। আমাদের সর্দি-কাশি হলে ডাক্তারের কাছে চলে যায়। আমাদের উচিৎ সর্দি-কাশি হলে ডাক্তারের কাছে না যাওয়া, কিছু নির্দেশিনা মানলে আমাদের সর্দি সেরে যাবে। কয়েকটি নির্দেশনা মেনে চললে আমাদের এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এর সাথে কিছু সতর্কতা মেনে চললে আমাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। 

ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষন

আমাদের এই পোস্ট সম্পূর্ণ দেখলে বুঝতে পারবেন ঘন ঘন সর্দি লাগার কারণ, সর্দি হওয়ার কারণ, সর্দি কমানোর উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সর্দির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। 

ভূমিকা | ঘন ঘন সর্দি কিসের লক্ষন 

সর্দি, কাশি, জ্বর এইগুলো হলো ভাইরাস জনিত সংক্রমণ রোগ। এই রোগ গুলো বেশিরভাগ ঠান্ডা লাগা জনিত সমস্যার কারনে হয়ে থাকে। সর্দি, কাশি বা সর্দি জ্বর এই রোগ গুলো শীতকালে বেশি হয়ে থাকে। আবার বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভেজার কারনে আমাদের সর্দি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। এই রোগ গুলো৷ জটিল কোন সমস্যা না। এইগুলো ঘরোয়া প্রতিকার এর সাহায্যে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। এই সকল সমস্যা গুলো ঘরোয়া ভাবে সমাধান করা যায়। 

অনেকে মনে করেন ভিটামিন-সি, রসুন গরম করে খাওয়ানো, একনোশিয়া নামক হারবার অষুধ খেলে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু এই ধারনাটি সম্পূর্ণ ভূল। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সর্দি জনিত সমস্যা কেনো হয় এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে। 

সর্দি কেনো হয় | সর্দি হওয়ার কারণসমূহ 

পৃথিবীর সব থেকে বেশি হওয়া রোগ গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি সর্দি। এই রোগটি ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্কদেরও হয়ে থাকে। সর্দি হওয়ার সাথে সবার মাথা ব্যাথা বা মাথা ভার হয়ে থাকে, যা অনেক অস্বস্তি লাগে। সর্দি হওয়ার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগানো বা নতুন কোন যায়গায় যাওয়ার ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতি বছর ৫-৬ বার সর্দি হওয়া স্বাভাবিক একটা ব্যাপার আবাএ ছোট বাচ্চাদের প্রতি বছর ১০-১২ বার সর্দি হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। 

একজন জীবিত মানুষের তার আয়ুষ্কাল পর্যন্ত ২০০-৩০০ বার সর্দি হয়ে থাকে। সর্দিকাশি হচ্ছে ঠান্ডা জনিত রোগ, এই রোগ কোন মারাত্মক রোগ না। 

সর্দি থাকা অবস্থায় নাসারন্ধ্রের ভিতরে মিউকাস লাইন অতিক্রম করে ডুকে পরে জীবানু। যারা ফলে নাসারন্ধ্রের ভিতর অতিরিক্ত সর্দি জমে যায়। ডাক্তারের ভাষায় সেটিকে বলা হয়ে থাকে 'রাইনোরেয়া"। 

সর্দি হলে কি অষুধ খাওয়া উচিত 

সর্দি হলে আমাদের মাথায় চিন্তা আসে কি অষুধ খেলে আমাদের সর্দি তাড়াতাড়ি কমে যাবে। কারণ সর্দি হলে মানুষের অনেক খারাপ লাগে। মাথা ব্যাথা থাকে, জ্বর থাকে এর ফলে কোন কিছুতে মন বসে না আমাদের। তাই আমাদের সর্দির জন্য অষুদের প্রয়োজন হয়ে থাকে। 

সর্দি হলে আমরা সাধারণত নাপা এক্সট্রা খেয়ে থাকি। আবার সর্দি বেশি হলে আমরা বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক অষুধ খেয়ে থাকি। অতিরিক্ত কোন অষুধ খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিৎ সর্দি হলে অষুধের উপর নির্ভর না করা। প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের এই সর্দির অসুখ সমাধান করা যাবে। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেও এই রোগ সহজে সমাধান করা যায়। 

নাকের সর্দি দূর করার ঘরোয়া উপায় 

প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া ভাবে নাকের সর্দি দূর করা সম্ভব। পোস্টের এই অংশে আমরা নাকের সর্দি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানবো। ঘরে বসে খুব সহজে নাকের সর্দি দূর করা সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাল নাকের সর্দি দূর করার ঘরোয়া কিছি উপায় সম্পর্কে। 

  • চেষ্টা করবেন শরীর গরম রাখার জন্য
  • নিয়মিত হালকা কুসুম গরম পানি পান করবেন
  • ১ গ্লাস গরম দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করুন
  • সর্দি হলে দুধ চায়ের পরিবর্তে আদা দিয়ে চা বানিয়ে পান করুন। ভালো উপকারে আসবে।
  • আদা দিয়ে চা খেতে না পারলে লেবু ও মধু একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন। 
  • তুলসি পাতা ও লেবুর রস পানি দিয়ে গরম করে পান করুন।
  • ৪-৫ টি রসুনের কোয়া ঘি দিয়ে ভেজে খেতে পারেন। ভালো উপকারে আসবে। 

ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষন 

আমরা মনে করে সর্দিকাশি ও সর্দি-জ্বর সাধারণ একটি অসুখ। এই অসুখ হলে আমরা অবহেলা করি। এই ভেবে যে এইটা তো সাধারণ রোগ ২/১ দিনের মধ্যে সেরে যাবে। আসলে এইটা ভাবা একদম উচিত না। আপনার যদি ঘন ঘন সর্দি-জ্বর হয়ে থাকে এবং এইগুলো যদি দুই সপ্তাহের বেশি পর্যন্ত থাকে তাহলে আমাদের সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। যদি আপনার লাগাতার সর্দি-জ্বর হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রতিনিয়ত এই খাবার গুলো খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। আবার এই রোগ গুলো ভালো না হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন:- 

  • এলার্জি
  • হাঁপানি 
  • সাইনোসাইটিস
  • জীবানু সংক্রমণ
  • নিউমোনিয়া 

পরিশেষে 

সর্দি কাশি দূর করার সব থেকে ভালো উপায় হলো হাইড্রেটেড থাকা। আপনি যত বেশি হাইড্রেটেড থাকতে পারবেন আপনি তত বেশি সুস্থ থাকতে পারবেন। সর্দি হলে আমাদের অষুধ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারন অতিরিক্ত অষুধ আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া ভাবে খুব সহজে সর্দি দূর করা সম্ভব। নাকের সর্দি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি ইতোমধ্যে। নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রায়হান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url